ToguMogu
article.title
 Jun 10, 2019
 10103

প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ

 

বিশ্ব ব্যাপী মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ বা সংক্ষেপে পি-পি-এইচ (PPH)। প্রায় ৪%-৬% ডেলিভারি এর সাথে পিপিএইচ জড়িত। প্রসবের পরবর্তী সময় থেকে ৪২ দিন পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি রক্তপাত হলে(নরমাল ডেলিভারির পর ৫০০ মি.লি এর বেশি বা সিজার ডেলিভারির পর ১০০০ মি.লি এর বেশি রক্তক্ষরণ) তাকে পি পি এইচ বলে। তবে পরিমাণের চেয়ে রুগীর অবস্থা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রুগীর রক্তচাপ এবং পালস এই ক্ষেত্রে বেশি বিবেচ্য।

 

বিশ্ব ব্যাপী মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ বা সংক্ষেপে পি-পি-এইচ (PPH)। প্রায় ৪%-৬% ডেলিভারি এর সাথে পিপিএইচ জড়িত। প্রসবের পরবর্তী সময় থেকে ৪২ দিন পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি রক্তপাত হলে(নরমাল ডেলিভারির পর ৫০০ মি.লি এর বেশি বা সিজার ডেলিভারির পর ১০০০ মি.লি এর বেশি রক্তক্ষরণ) তাকে পি পি এইচ বলে। তবে পরিমাণের চেয়ে রুগীর অবস্থা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রুগীর রক্তচাপ এবং পালস এই ক্ষেত্রে বেশি বিবেচ্য।

 

পি পি এইচ ২ ভাগে বিভক্ত

 

১. প্রাইমারি – প্রসবের পর থেকে ২৪ ঘণ্টা এর মধ্যে হবে।

 

২. সেকেন্ডারি- ২৪ ঘণ্টা এর পর থেকে ৪২ দিনের/ ৬ সপ্তাহ এর মধ্যে হবে।

 

 

কারনঃ

 

১) প্রাইমারি পিপিএইচ ৮০% ক্ষেত্রে জরায়ু এর সমস্যা থেকে রক্তপাত হয়ে থাকে। যে সব কারণে জরায়ু এর মাংসপেশি এর স্বাভাবিক টান নষ্ট হয় তার মধ্যে অন্যতম হল: অধিক বাচ্চা ধারণ (৪ টির বেশি বাচ্চা) যমজ বাচ্চা রক্তশূন্যতা অপুষ্টি গর্ভকালীন রক্তপাত ১২ ঘণ্টা এর বেশি লেবার জরায়ু এর জন্মগত ত্রুটি ফাইব্রয়েড অতিরিক্ত ওজন (বিএমআই >৩৫) অধিক বয়সে গর্ভধারণ (৪০ এর বেশি বয়স) পূর্বে পিপিএইচ হয়েছে এমন মা জোর করে/ সময়ের আগেই ডেলিভারি এর চেষ্টা করানো এছাড়া গর্ভফুল এর অংশ জরায়ু তে থেকে যাওয়া, রক্ত জমাট বাধা এর উপাদান বেশি হওয়া এবং আঘাতজনিত কারণে পি পি এইচ হতে পারে।

 

 

২) সেকেন্ডারি পিপিএইচঃ গর্ভফুল এর অংশ জরায়ু তে থেকে যাওয়া এর প্রধান কারণ। এছাড়া ইনফেকশন থেকে, সিজারিয়ান ডেলিভেরি এর জটিলতা থেকে এমন হতে পারে।

 

 

 

প্রতিরোধঃ

 

নিচের বিষয় গুলো খেয়াল রেখে পিপিএইচ প্রতিরোধ অথবা এর তীব্রতা কমানো সম্ভব –

 

# গর্ভফুলের অবস্থান ডেলিভেরি এর আগেই নিশ্চিত করা

 

# উচ্চ ঝুঁকি পূর্ণ মা দের নিয়মিত চেকআপ এর মধ্যে রাখা

 

# রক্তের গ্রুপ আগে থেকে নিশ্চিত করে রাখা

 

# হাসপাতালে ডেলিভারি করানো। কেননা, হাসপাতালে ডেলিভেরি এর তৃতীয় ধাপ এর সময় যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয় তা পি পি এইচ এর সম্ভাবনা অনেক অংশে কমিয়ে দেয়।

 

# রক্তের গ্রুপ আগে থেকে জেনে সেই গ্রুপ এর রক্ত দিতে পারবে এমন ২ জন কে ঠিক করে রাখা। মনে রাখা প্রয়োজন এই সময় প্রচুর রক্ত এর প্রয়োজন হয় দ্রুত।

 

 

চিকিৎসাঃ

প্রাইমারি পিপিএইচঃ প্রসব পরবর্তী রক্তপাতের ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে। ঘরে এর চিকিৎসা সম্ভব নয়। প্রাথমিক ভাবে রক্ত, স্যালাইন এবং কিছু ওষুধ এর মাধ্যমে চেষ্টা করা হয়। এর পর যদি উন্নতি না হয় সেই ক্ষেত্রে বেলুন(কনডম)ট্যাম্পোনেড করা হয়। এর পর উন্নতি না হলে সার্জারি এবং শেষ চেষ্টা হিসাবে জরায়ু ফেলেও দিতে হতে পারে।

 

সেকেন্ডারি পিপিএইচ: এই ক্ষেত্রে কারণ এর উপর নির্ভর করে চিকিৎসা দেয়া হয়। ক্ষেত্র বিশেষে ল্যাপারোস্কপি এর প্রয়োজন হতে পারে।

 

 

 

Learning Toys