মূর্খতা এবং অজ্ঞতার অন্ধকারে পথ হারানো মানবজাতিকে ক্ষমা ও মুক্তির সঠিক পথে পরিচালনার জন্য যুগে যুগে মহান আল্লাহ তায়ালা নবী ও রাসূলগণকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁদের ওপর অবতীর্ণ করেছেন তাঁর পবিত্র বাণী বা আসমানী কিতাব। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ নবী ও রাসূল হিসাবে পৃথিবীতে এসেছিলেন আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদুর রাসূলুলাহ (সা.)। এবং তাঁর ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল মহাগ্রন্থ’ পবিত্র আল-কুরআন। এই পবিত্র কুরআনেই বর্ণিত হয়েছে পূর্ববর্তী নবী রাসূলগণের সময়ে সংঘটিত নানা ঘটনার কাহিনী। যে কাহিনীগুলো আমাদেরকে শুনিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা মূলত চেয়েছেন আমাদেরকে সতর্ক করতে এবং শিক্ষা দিতে। পূর্ববর্তী নবী রাসূলগণের কওমের লোকেরা যখন আল্লাহর বাণীকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, দম্ভ ও অহংকার প্রকাশের মাধ্যমে সীমা লঙ্ঘন করেছিল, পাপ করতে করতে পৃথিবীর মাটি, পানি ও বাতাসকে কলুষিত করে ফেলেছিল, নিরীহ মানুষের ওপর জুলুম ও অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, নবী রাসূলগণকে পর্যন্ত অপমান, তিরস্কার ও লাঞ্চিত করেছিল তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছিল আযাব ও গজব। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল সেসব কওমকে। একই সঙ্গে আল্লাহ তায়ালার প্রত্যক্ষ সাহায্যে রক্ষা করা হয়েছিল ইমানদার নিরীহ মানুষকে। পবিত্র কুরআনে সেসব কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।