এই বইটি লেখার পেছনে আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে মাতৃত্ব বিষয়ক জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরা।
একজন ‘মা’ যখন এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানবেন, তখন তিনি প্রয়োজনের সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ৷ নরমাল ডেলিভারি তখন আর তার কাছে আতঙ্কের বিষয় হবে না, বরং মেডিকেশন ছাড়াও পেইন ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেন। নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে সত্যিকারের প্রয়োজনে সি সেকশনেও যেমন পিছপা হবেন না, আবার অপ্রয়োজনীয় সি সেকশনের ফাঁদেও পড়বেন না৷
আমরা প্রায়ই অনেক মেসেজ পাই—অনেকে প্রিন্যাটাল ক্লাস করতে চান শুধু নরমাল ডেলিভারির জন্য, অনেকে ভাবেন এই ক্লাস করলে হোম বার্থ করানো সম্ভব; আবার কারও ধারণা পশুপাখির সিজার না লাগলে, মানুষের লাগবে কেন? তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই—গর্ভকালীন পড়াশোনা করার মূল উদ্দেশ্য হলো, একজন মা যেন কুসংস্কারমুক্ত হয়ে নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝতে শেখেন, গর্ভকালীন সময়ে স্বাভাবিক-অস্বাভাবিক পরিস্থিতির পার্থক্য বোঝেন, সন্তান ধারণ করার ও জন্ম দেয়ার প্রতিটি মুহূর্তে যেন জ্ঞানের আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেন।
এই বইয়ের ক্ষুদ্র পরিসরে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে প্রেগন্যান্সি, সন্তান জন্মদান নিয়ে প্রচলিত বিভিন্ন ভুল ধারণা, এবং সেসব সমস্যার সমাধানের দিকে আলোকপাত করতে৷ সেই সাথে থাকছে গর্ভকালীন পড়াশোনার গুরুত্ব ও আমাদের শিক্ষার্থীদের মোটিভেশনাল কিছু বার্থস্টোরি।
‘মা’ শব্দটি পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর একটি ডাক। পৃথিবীতে মানবজাতির আগমনের সূচনালগ্ন থেকে আমরা নারীরা মাতৃত্বের সম্মান পেয়ে আসছি৷ আমাদের মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাঁর সৃষ্টিকে বিস্তৃত করছেন।
তাই আল্লাহর কাছে আমাদের কামনা—মাতৃত্বের এ যাত্রা যেন সহজ হয়, এবং সুস্থ সন্তান ও নিরাপদ মাতৃত্বের নসিব হোক সবার জন্য। আমীন।
সন্তানদের চিন্তাশীল বা Thoughtful, বিবেকবান এবং মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা এমনিতেই কষ্টকর। কোন কোন ছেলে বাচ্চারা খুব মিশুক প্রকৃতির হয় আবার কোন কোন ছেলেরা হয় ঘরকুনো। সারাদিন ভিডিও গেম অথবা কার্ট...
একটি সন্তানের দায়িত্ব বাবা-মা দুইজনেরই সমান। মায়ের দায়িত্ব শুরু হয় বাচ্চা গর্ভে ধারণের মাধ্যমে, আর বাবার দায়িত্ব শুরু হয় তার গর্ভবতী স্ত্রীর যত্ন নেয়ার মাধ্যমে। আমাদের দেশে স্বামীদের মধ্যে এখনও...
শিশুরা মুক্ত মনের অধিকারী। তাদের কল্পনা শক্তিও প্রখর। তাই সৃজনশীল কাজে তাদের আগ্রহও থাকে অনেক বেশি। সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই যদি সৃজনশীল কাজে সংযুক্ত করা যায় তাহলে সে একজন মুক্তমনা মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
বাচ্চা মানুষ করার ক্ষেত্রে বাবা মায়েরা জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে নানা রকম অপরাধবোধের মধ্যে দিয়ে পার করেন। সবকিছু সামলে সন্তানকে প্রপারলি গোড়ে তোলা মোটেও সহজ কথা নয়। এই জার্নিতে তাই মাঝে মধ্যে অপরাধবোধ...
শিশুর বয়স যখন ৪-৭ মাস বয়স তখন কি ধরণের খেলনা দিতে হবে? কীভাবে এই বয়সের শিশুর সাথে খেলতে হবে? জেনে নিন আমাদের 'Children Play Series' থেকে।
প্রতিদিন সকালে উঠেই মায়েরা যেন এক আতঙ্কে পড়ে যান সন্তানের নাস্তা বা খাবার নিয়ে। আর সন্তানের বয়স যদি হয় এক থেকে পাঁচ এর মধ্যে তাহলে তো কথায় নেই। কারণ এই বয়সেই শিশুর খাবার নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়...