১৪ মাস বয়সের পর থেকেই বাচ্চাদের haircut দিতে নিয়ে যাওয়া বাবা মার জন্যে এটি বিভীষিকার মত। অনেক সময় ৫ থেকে ৬ বছর বয়সী বাচ্চারাও প্রচুর কান্নাকাটি করে। এর কারণ হতে পারে তারা বড় বড় কাঁচির এতো কাছ থেকে দেখে ভয় পায় বা অন্য কোন কিছু। তাদের এই ভয় আরও বেড়ে যায় যখন তাদের জোর করে আটকে রেখে চুল কাটানো হয়। তাদেরকে কোনভাবেই ভুলিয়ে রাখা যায় না বরং তারা এদিক ওদিক মাথা নাড়িয়ে নিজেকে আহত করার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। বাচ্চাদেরকে চুল কাটতে নিয়ে গিয়ে এই ভাবে জোর করে আটকে রাখলে তাদের মধ্যে একটা ভীতি ঢুকে যায়। যা পরবর্তীতে phobia তে রূপ নিতে পারে। যদি এমনটা হয়, তাহলে এমনও হতে পারে কাউকে চুল কাটতে দেখেই বা কারও চুল কাটার ছবি দেখেও সে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পরছে। পার্লারের ওই বড়বড় কাঁচি থেকে তারা ভয় পাবার অনুভুতিটিকে বেশি ভয় পায়। তাই পরিচিত মানুষজন কাছে থাকা সত্ত্বেও তার ভয় কমে না। বরং আপনি যে তাকে জোর করে সিটে আটকে রাখছেন তা তাদের ভয়কে আরও বাড়িয়ে দেয়। তারা নিজেকে অসহায় মনে করতে শুরু করে। এর থেকে উত্তরণের উপায় অনেক সময় হয় যে, আপনার শিশু পার্লারে গিয়ে নতুন একটা পরিবেশে ঢোকা পছন্দ করছে না, যেখানে সবাই তার দিকে তাকিয়ে থাকে, এবং হঠাৎ করে তাকে একটা বিরাট বড় চেয়ারে বসিয়ে দেয়া হয়, যার সামনে বিশাল আকৃতির একটি আয়না রাখা থাকে। সেখানে সে নিজেরর ভীত সন্ত্রস্ত চেহারার প্রতিফলন দেখতে পায়, যা তাদের মনকে আরও ভেঙ্গে দেয়। এমনই যদি হয় তাহলে সবচেয়ে ভাল হয় তাকে বাড়িতেই চুল কেটে দেয়া, যেখানে সে নিজের মত বসে পছন্দের কাজটি করতে পারবে এবং আপনি সেই ফাঁকে তার চুল কেটে দিবেন। আর সে যদি বড় কাঁচি দেখলে ভয় পেয়ে থাকে তাহলে যে তার চুল কেটে দিচ্ছে তাকে বলবেন ছোট কাঁচি বা রেজর ব্যবহার করতে। মাঝে মাঝে বাচ্চারা পাশে অন্য বাচ্চাদের পেলে ভয় একটু কম পায়। তাই পারলে সাথে তার ভাই, বোন বা কাজিনকেও পার্লারে নিয়ে যাবেন যাতে সে তাদের সাথে ব্যস্ত থাকে। যদি চুল কাটতে গিয়ে সে একবার মজা পায় তাহলে তার মধ্যে আর ভয় কাজ করবে না। তবে তার এই ফুরফুরে মনভাব বেশিক্ষণ নাও থাকতে পারে। বাচ্চাদের জোর করে ধরে রেখে কান্নাকাটি করিয়ে মুড নষ্ট করার চেয়ে কি একটু আঁকাবাঁকা করে চুল কাটার পরও তাদের হাশিখুশি চেহারা দেখতে পারাটি কি বেশি আনন্দের নয়? সেজন্যেই যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে ফেলা যায় সেই চেষ্টা করবেন। বাচ্চাদের চুল যে একদম পারফেক্টলি কাটতে হবে তার কোন মানে নেই। সব চেয়ে জরুরী হল তাকে শান্ত রাখা।