গণিত বা ম্যাথমেটিক্স খুবই মজার একটি বিষয়। কিন্তু অংক করতে বসে আমরা অনেকেই বিষয়টিকে জটিল বানিয়ে ফেলি। আর এই জটিলতার বেড়াজালে জড়িয়ে গণিতের প্রতি আগ্রহটাও হারিয়ে যায়। তখন গণিত নামক বিষয়টির নাম শুনলেই গায়ে জ্বর চলে আসে। অথচ সহজ কিছু ছোট ছোট কাজ নিয়মিত করার মাধ্যমে গণিতে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব। আর দক্ষতা বাড়লেই বিষয়টি হয়ে উঠবে মজার। আজকে সেরকমই কিছু ছোট ছোট টেকনিক নিয়ে আলাপ করবো আমরা।
১. পাজল গেমস:
পড়ায় মন বসছে না, কফি হাতে বসে আছো বারান্দায়। ঠিক এই সময়টিতে, কফি খেতে খেতে মিলিয়ে নিতে পার সুডোকু অথবা পুল সাইড পাজল এর মত কিছু গেমস। এই গেমসগুলো যেমন গণিতে দক্ষতা বাড়িয়ে তুলবে, তেমনি অলস সময়টাও হয়ে উঠবে আনন্দদায়ক। এমনকি কিছু কিছু গবেষনা মতে, সুডোকু মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে। আজকাল এরকম বেশ কিছু গেমস-এর অ্যাপস পাওয়া যায়। নিজের পছন্দমত বেছে নিতে পারো যে কোন একটি।
২. প্লে-কার্ডস:
এটি অনেক মজার একটি খেলা। খেলার নিয়ম অনেকটা এরকম: কিছু কার্ডে একটি করে সংখ্যা লেখা থাকবে এবং কার্ডগুলো দুইজনের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেয়া হবে। যে যত গুলো কার্ড পাবে, কার্ডের সংখ্যাগুলো ক্রমান্বয়ে যোগ করতে হবে। যে যত দ্রুত বলতে পারবে সেই হবে জয়ী। এ খেলাটির মাধ্যমে যে কোন সংখ্যার যোগ সহজেই আয়ত্তে চলে আসবে।
৩. ট্রিক্স মেথড:
এই মেথডটির সাহায্যে নিমিষেই চমকে দিতে পারো বন্ধুদের। মেথডটি অনেকটা এমন- প্রথমে যেকোন একটি সংখ্যা ধর। এরপর একে দ্বিগুণ কর। এর সাথে ৯ যোগ কর। যোগফল থেকে ৩ বিয়োগ করে ২ দ্বারা ভাগ কর। পরিশেষে, যে সংখ্যাটি প্রথমে ধরেছ তা থেকে ভাগফলটি বিয়োগ কর। কত হল ৩? এরকম আরও কিছু মেথড নিজেই বানিয়ে ফেলো এবং হয়ে উঠো আরো দক্ষ, আরো বুদ্ধিমান।
৪. সহায়ক হতে পারে বই:
পাঠ্যবইয়ের বাইরে বেশ কিছু বই আছে যা গণিতের দক্ষতা বাড়াতে কার্যকরী। নিয়মিত এই বইগুলো অনুসরণ করলে তা তোমাকে গণিতে আরও দক্ষ করে তুলতে পারে। এমন কিছু বইয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- নিউরনে অণুরণন, গণিতের রঙ্গে-হাসিখুশি গণিত ইত্যাদি।
৫. স্পট ম্যাথ:
আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত নানা আকৃতির বস্তু দেখতে পাই। যেমন সিলিন্ডার, কোণক, বৃত্ত ইত্যাদি। এই আকৃতিগুলো দেখে এদের আয়তন সূত্রগুলো ঝালিয়ে নিতে পারি। স্পট বা জায়গা যা-ই হোক না কেন, খাতা-কলম ছাড়াই যে কোন স্পটে বসে করে ফেলা যায় এরকম ছোটখাটো কিছু ম্যাথ।
৬. উদাহরণ দিয়ে শেখা:
যেকোন জিনিস উদাহরণ দিয়ে শিখলে তা অনেক ভালভাবে বুঝা যায়। তাই কোন গাণিতিক সমস্যা সমাধানের সময় উদাহরণ দিয়ে চিন্তা করলে সহজে সমাধান করা যায়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি বাস্তবসম্মত উদাহরণ দিয়ে শেখা যায়।
৭. ছবির সাহায্যে সমাধান:
এটি মূলত ত্রিকোণমিতি, জ্যামিতির জন্য ব্যবহার হলেও অন্যান্য গাণিতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেও এটি অনেক কার্যকর। ছবি আঁকলে সমস্যা সমাধান করা অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়।
৮. নিয়মিত অনুশীলন:
গণিতে দক্ষ হতে হলে অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। চর্চা না করলে গণিতে কখনোই ভাল করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিনই কিছু না কিছু গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে হবে।
ডিজিটাল ক্যামেরা না স্কুটার? কোন গিফটটি চান সন্তানের জন্য ? গিফট সম্পর্কে নিচের লিংকে বিস্তারিত জানুন :