ToguMogu
article.title
 Jun 12, 2019
 3913

শিশুদের প্রোটিন এবং ক্যালোরি স্বল্পতা জনিত সমস্যা

আমাদের দেশে ৫ বছরের কম বয়সী যতো শিশু মারা যায় তার মধ্যে অন্যতম রোগ প্রোটিন এনার্জি ম্যালনিউট্রিশান। এটা সাধারণত শিশুদের হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন যাবত প্রোটিন এবং ক্যালোরি না গ্রহণের অভাবে এই রোগটি হয়।


কী কী কারণে এই রোগ হয়ে থাকে?

১. খাবার গ্রহণের অভাব।

২. বুকের দুধ ঠিকমতো না খাওয়া।

৩. ৬ মাস বয়স পূর্ণ হবার পর শিশুকে কমপ্লিমেন্টারি আরও যেসব খাবার দেওয়া উচিত তা সঠিকভাবে না দিতে পারা।

৪. সঠিকভাবে খাবার প্রস্তুত না করা।

৫. অল্প সময়ের ব্যবধানে গর্ভধারণ।

৬. কৃমির সংক্রমণ।

৭. মানসিক বা শারীরিক প্রতিবন্ধিত্ব।


এটি কয় ধরনের হয়ে থাকে?

এটি সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।

১. ম্যারাসমাস

২. কোয়াশিয়র্কর


এ রোগে কী দেখা যায়?

ম্যারাসমাস – চেহারা দেখতে জ্ঞানী জ্ঞানী মনে হওয়া। অর্থাৎ বয়সের তুলনায় চেহারা বেশি বয়স্কদের মতো মনে হওয়া। – অনেক বেশি শুকিয়ে যাওয়া। – খাবারের রুচি ভালো থাকে, ইত্যাদি।


কোয়াশিয়র্কর – গোলাকার, ফোলাফোলা চেহারা। – শরীরে পানি আসা – ত্বকে পরিবর্তন আসা – চুলে পরিবর্তন আসা – মানসিক পরিবর্তন আসা – খাবারের রুচি কমে যাওয়া – লিভার বড় হয়ে যাওয়া, ইত্যাদি।


কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়?

১. কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট উইথ পেরিফেরাল ব্লাড ফিল্ম

২. রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা

৩. রক্তে টোটাল প্রোটিনের মাত্রা

৪. রক্তে এলবুমিনের মাত্রা

৫. রক্তে ইলেক্ট্রোলাইটসের মাত্রা

৬. প্রস্রাবের রুটিন ও মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষা এবং কালচার ও সেনসিটিভিটি টেস্ট

৭. বুকের এক্স-রে

৮. রক্তের কালচার ও সেনসিটিভিটি টেস্ট।


কী কী জটিলতা দেখা দিতে পারে?

১. নানা রকমের ইনফেকশান

২. পানিশূন্যতা

৩. রক্তে ইলেক্ট্রোলাইটসের অসামঞ্জস্যতা

৪. রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়া

৫. শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া

৬. রক্তশূন্যতা

৭. হার্ট ফেইলিউর

৮. রক্তক্ষরণ হওয়া

৯. অন্ধত্ব

১০. হঠাৎ মৃত্যুবরণ।


শিশু স্বাস্থ্য এর জন্য রয়েছে আমাদের Parent & Child Counseling সহ আরও অনেক সার্ভিস। সেগুলো জানতে ভিসিট করুন https://togumogu.com/en/parenting-services


MOM+mini