এক.
আদর্শ প্রজন্ম গড়তে হলে সুচিন্তিত পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। শিশুমনের গভীরে সুন্দর সুন্দর গুণের—বীজ বুনতে হবে।
তারপর কী হবে?
তারপর সঠিক পরিচর্যায় সেই বীজগুলোই সুন্দর করে অঙ্কুরিত হবে। সবুজ সবুজ পাতা ছড়াবে। ডালে ডালে শোভা পাবে—থোকা থোকা ফল। মৌ মৌ ফুল। দৃষ্টিকাড়া। মনকাড়া।
দুই.
বন্ধু, আমাদের আশপাশে কত্ত মানুষের বাস, সবাই কি গুণী? নাহ, সবাই গুণী না! গুণী মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে অনেক কম। আমাদের সোনালি ইতিহাসে লেখা আছে— আগে গুণী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তাই পৃথিবীও তখন খুব সুন্দর ছিল। পৃথিবীর মানুষও অনেক ভালো ও আদর্শবান ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে হলো কি, গুণী মানুষের সংখ্যা কমতে লাগল। কমতে কমতে অনেক কমে গেল। পৃথিবীটাও তখন ভরে উঠতে লাগল— অশান্তিতে। অস্বস্তিতে। অরাজকতায়।
বন্ধু, এ অবস্থা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। এই পৃথিবীকে আবার আমরা সেই সোনালি যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু সে কীভাবে?
এই যে, তোমার সামনে দশটি সেরা গুণ নিয়ে দারুণ দারুণ দশটি গল্প সাজিয়েছি আমরা; এ সব গল্পই তোমাকে পথ দেখাবে! আশা করি, এসব গল্প পড়তে শুরু করলে তুমি বদলে যাবে! তোমার চিন্তা বদলে যাবে! অন্ধকার সব দূরে পালিয়ে যাবে! সামনে একে একে উদিত হতে থাকবে আলো আর আলো! আমানতদারির আলো! ওয়াফাদারির আলো! সততার আলো! ইনসাফের আলো! মহানুভবতার আলো! আল্লাহর ওপর ভরসা করার আলো! আরও কত্ত আলো!
বন্ধু, এসব আলোর ছোঁয়া পেয়ে— তুমিও নিশ্চিত হেসে উঠবে আলোর হাসি! হয়ে যাবে একজন আলোকিত মানুষ! আদর্শ মানুষ! এসো তাহলে, প্রবেশ করি! গভীরে যাই! গল্পের সাথে একেবারে মিশে যাই! এক এক করে দশটি গল্প শেষে আবিষ্কার করি নিজেকে— আরেক মানুষ হিসেবে! বদলে যাওয়া মানুষ হিসেবে! বিশ্বাস করো, পৃথিবীকে বদলে ফেলতে হলে তোমাকেও বদলে যেতে হবে! আর তা সম্ভব নয়— এসব গুণে গুণী না হলে!