এক দেশে এক ছিল ছোট্ট মেয়ে…সে ছিল মহা রূপবতী…তার রূপে রাজ্যে সবাই বিমোহিত! কিন্তু তার অনেক দুঃখ, অনেক কষ্ট! একদিন এক রাজপুত্র এসে তাকে উদ্ধার করে। সিনড্রেলা, স্নো ওয়াইট, বারবি, রুপানজিল, বিউটি এন্ড বিস্ট প্রায় সব রূপকথার গল্পতে আছে এমন ফুটফুটে সুন্দরী কন্যা।
শিশু-কিশোরেরা এসব পড়ে বড় হয়। একটা রূপকথার অবাস্তব জগত তাদের মন আচ্ছন্ন করে রাখে। তারা কল্পনায় ঘোড়ায় চড়া রাজপুত্র দেখে, বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে ভেতরের সৌন্দর্য যে কত দামি তা শিশুমন বোঝে না। অবাস্তব জগতের কল্পকাহিনী পড়ে বড় হওয়া শিশু বাস্তবতা ও মানবিকতাহীন হয়ে পড়ে।
‘আমি হতে চাই’ সিরিজের গল্পগুলো কোনো রূপকথা বা অবাস্তব জগতের নয়। সাধারণ দুই শিশু আনাস-নকিব দু’ভাইয়ের জীবনের গল্প যেন এই সমাজের শিশুদের জীবনকে প্রতিফলিত করে।
এই সিরিজের ছয়টি গল্প ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের, ছয়টি ভিন্ন ঋতু-প্রকৃতির রূপে আঁকা আর বিভিন্ন মানবিক গুণ সহজ সাবলীল ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে।
একেক গল্প একেক রঙে, একেক রূপে সাজানো হয়েছে যা শিশুদের সহজেই আকৃষ্ট করবে। কোনোটি হাসি-আনন্দে ভরিয়ে দেবে, কোনো গল্প ভাবাবে, অন্যের দুঃখ-কষ্ট ছুঁয়ে দেবে, কোনোটাতে এডভেঞ্চারের স্বাদ পাবে আবার কোনোটাতে রহস্যের মোড়ক উম্মোচিত করবে। কিন্তু সবগুলোই যেন একই সুতোয় গাথা যা গল্প শেষে শিশু পাঠক খুব সহজেই খুঁজে বের করতে পারবে।
গল্পগুলোর মাধ্যমে শিশুরা সত্যবাদিতা, পরোপকারিতা, উদারতা, সহনশীলতা, পরিচ্ছন্নতা, কৃতজ্ঞতাবোধ ইত্যাদি মানবিক গুণাবলি শিখতে পারবে। প্রতিটি গল্পে একটি করে শিক্ষণীয় বিষয় আছে যা শিশুকে মানবিক বোধ সম্পন্ন আলোকিত মানুষ হতে সাহায্য করবে।
বইগুলো যথাক্রমে:
১)আমি সত্যবাদী হতে চাই
২)আমি সাহায্যকারী হতে চাই
৩)আমি উদার হতে চাই
৪)আমি পরিচ্ছন্ন মানুষ হতে চাই
৫)আমি সহনশীল হতে চাই
৬)আমি কৃতজ্ঞ হতে চাই