
ফারাহ ছবি আঁকতে খুব পছন্দ করে। নানারকম নকশা নিয়ে খেলাও ওর খুব পছন্দের। ওর জন্মদিনে ওকে বাবা উপহার দিলেন ট্যানগ্রাম। ফারাহ’র আনন্দ আর দেখে কে! এমন একটি জিনিসই তো সে চাইছিলো!
মাত্র ৭ টি জ্যামিতিক আকৃতি নানাভাবে সাজিয়ে হাজার হাজার শেপের ছবি তৈরি করার খেলা ট্যানগ্রাম। এর প্রচলন প্রায় হাজার বছর আগে। প্রাচীন চীনে উৎপত্তি হলেও পরবর্তীতে তা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। অবসর সময় কাটানোর মাধ্যমে কিংবা মাথা খাটানোর খেলা-যাই বলা হোক না কেন, ছেলে-বুড়ো সবাইকেই মাতিয়েছে ট্যানগ্রাম। বহু গণিতবিদকেও যে ভাবিয়েছে এটা, তার প্রমাণও ইতিহাস জুড়ে মেলে। এক কথায়, কয়েক মিনিটের মজার খেলা থেকে শুরু করে ঘন্টার পর ঘন্টা মাথা খাটানোর জিনিস হিসেবে ট্যানগ্রামের জুড়ি মেলা ভার।
একজন সচেতন অভিভাবক হিসাবে আপনি যে সব কারণে সন্তানের হাতে ট্যানগ্রাম স্মার্টকিটটি তুলে দিতে পারেন-
ডিজিটাল আসক্তি দূর করতেঃ
অন্যান্য বিজ্ঞানবাক্সের চেয়ে ট্যানগ্রাম একটু আলাদা। এটি যতটা না বিজ্ঞানময় তার চেয়ে বেশি নান্দনিক এবং মানবিক গুণাবলী বিকাশে সাহায্য করবে।
সন্তানের সাথে কোয়ালিটি সময় কাটাতেঃ
বাচ্চাদের হাতে আমরা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন খেলনা তুলে দিচ্ছি, যার বেশিরভাগই হয়তো তার অবসর কাটাতে সাহায্য করছে, কিন্তু কোয়ালিটি টাইম দিচ্ছে না। ট্যানগ্রামের সুন্দর সুন্দর নকশা তৈরি করলে আপনার সন্তানের সাথে আপনার অসংখ্য সুন্দর স্মৃতি তৈরি হবে এবং ওকে ভাল কিছু শেখাতেও পারবেন।
সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে:
ট্যানগ্রামের সাহায্যে মাত্র ৭টি কাগজ বা কাঠের টুকরো দিয়ে হাজারের ওপর নকশা বানানো যায়। ফুল, পাখি, ঘর-বাড়ি, মানুষ, রোবট সব বানানো যায়। এসব নিয়ে মেতে থাকলে তার মস্তিষ্কের চর্চা হবে, এবং মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে।