কিভাবে শিশুকে খাওয়ানো হচ্ছে তার একটি বড় প্রভার রয়েছে শিশুর ভবিষ্যৎ খাদ্যাভ্যাসের এবং পুষ্টির উপর। হয়তো অত্যন্ত মজাদার পুষ্টিকর খাবার তৈরী করা হচ্ছে শিশুর জন্যে কিন্তু তারপরও শিশু তা খেতে চাচ্ছে না। মা বাবার সবসময় দুশ্চিন্তা করাটা স্বাভাবিক যে বেড়ে উঠার জন্যে সন্তান কি আসলে পর্যাপ্ত খাবার খাচ্ছে কিনা। এ বিষয়ে গবেষণা বলে যে, একজন শিশু আসলে জানে যে কতটুকু খাবার ওর দরকার এবং ও অবগত আছে কখন ওকে খাওয়া থামাতে হবে। তাই মা বাবার প্রথমেই সন্তানকে বিশ্বাস করা শিখতে হবে। ঠিক কি কারণে সন্তান খেতে চাচ্ছেনা তা ধীরে ধীরে খুঁজে বের করতে হবে। হতে পারে ওর পেট ভরে গিয়েছে বা ওর খাবারটি পছন্দ হয়নি অথনা অন্য কোন কারণ।
১। খাওয়ার জন্য শিশুকে প্রেসার দেয়াঃ
আপনি যদি সবসময় শিশুকে অতিরিক্ত খাওয়ার জন্যে চাপ দিয়ে থাকেন তাহলে তা খাওয়ার প্রতি আপনার শিশুর আকর্ষণ কমিয়ে দেয়। এমন কোন পদ্ধতিতে যদি শিশুকে খাওয়ানো হয় যাতে শিশুর উপর চাপ সৃষ্টি হয় তাহলে শিশুর মনে খাওয়ার ভয় ঢুকে যায়। ফলস্বরূপ, ও আর কখনোই খাওয়ার সময়ের জন্যে অপেক্ষা করবেনা কারণ ও বুঝে যায় খাওয়ানো জন্যে ওর উপর জোরাজুরি করা হবে। সুতরাং খাওয়ার সময়টা আপনার জন্যে যেমন একটা বিনোদন তেমনি শিশুর জন্যেও তাই রাখুন, যাতে ও ঐ সময়টুকু উপভোগ করে অর্থাৎ উপভোগ করে খেতে পারে। একেবারেই কোন চাপ দেয়া উচিৎ না শিশুর উপর খাওয়ার জন্যে। সন্তানকে খাওয়ায় উৎসাহিত করতে জোরাজুরি নয় প্রয়োজন ধৈর্য্যের। ধৈর্য্য রাখুন যদি প্রথম কয়েক গ্রাস ও খেতে না চায়। আপনি নিজে তখন খাবারটি এক দু গ্রাস খেয়ে অভিব্যক্তি দিয়ে দেখাতে পারেন যে খাবারটি আসলে অনেক মজার হয়েছে।
২। খাবারের স্বাদে এবং ধাঁচে সংবেদনশীল শিশুঃ
শিশুদেরও নিজেদের পছন্দ-অপছন্দ আছে। কোন শিশুর পছন্দ নরম খাবার আবার কোন শিশুর পছন্দ দানাযুক্ত খাবার। কোন শিশুর ভালো লাগতে পারে পিচ্ছিল খাবার আবার কোন শিশুর তা একেবারেই ভালো নাও লাগতে পারে। আপনার শিশু যদি খুব সংবেদনশীল হয়ে থাকে খাবার মুখে যাবার পর কেমন লাগছে সে ব্যাপারে তাহলে ওর পছন্দের স্বাদ না হলে আপনি যতটুকু চান সে পরিমাণ শিশু নাও খেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে আপনার শিশু কিরকম খাবার পছন্দ করছে। ওর প্রিয় Texture এবং স্বাদের খাবারটি আপনি ভিন্নভিন্ন ভাবে তৈরী করতে পারেন।
৩। অমনোযোগী শিশুঃ
খাওয়ার সময়ে যদি শিশুর আসেপাশে অনেক খেলনা থাকে অথবা যদি শিশু বিছানায় দাঁড়িয়ে জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে অথবা টেলিভিশনে কার্টুন দেখতে থাকে তাহলে ওর সম্পূর্ণ মনোযোগ খাওয়ার প্রতি থাকেনা। শিশুকে বুঝাতে হবে যে খাওয়ার সময় শুধু খেতে হয়। এতে করে ও বুঝতে শিখবে যে ওর দিনের মধ্যে খাওয়া দাওয়া করা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় অংশ। খাওয়ার সময় খেলনা সরিয়ে ফেলুন, টেলিভিশন বন্ধ রাখুন যাতে ওর পুরো মনোযোগটা খাওয়ার প্রতি থাকে। প্রথম কিছুদিন এই কাজটি আপনার জন্যে কঠিন মনে হলেও ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার শিশু উপভোগ করে খেতে শুরু করেছে।
৪। শিশু আঁটসাঁট জামা পড়ে আছেঃ
যখন আপনি শিশুকে খাওয়াচ্ছেন তখন ওর ছোট্ট পেটটি ৪০% পর্যন্ত বেড়ে উঠে। তাই যদি আপনার সন্তান আঁটসাঁট কিছু পড়ে থাকে খাওয়ার সময় তাহলে পর্যাপ্ত খেতে ওর অস্বস্তি লাগতে পারে। নিশ্চিত করুন খাওয়ার সময় ও যেন আরামদায়ক অবস্থায় থাকে। আরামদায়ক জামা এবং ডায়াপার পড়িয়ে দিন যাতে ভরা পেটে ওর বদ্ধ না লাগে।
আপনার পরিবারের পুষ্টি নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে শক্তি+ প্রোডাক্ট কিনুন এই লিঙ্কে: