সাধারন বিষয় গুলোঃ
✅ এই সময় আপনার শিশুর বারবার ক্ষুধা লাগে। তাই তাকে ঘনঘন বুকের দুধ পান করান। এছাড়া সে এদিক ওদিক হাত নাড়তে শুরু করে। তাই তার নখ গুলো কেটে দিতে হবে নাহলে সে মুখের বিভিন্ন স্থানে স্ক্র্যাচ ফেলে দিবে। তার দৃষ্টিসীমা এখনও খুব বেশি নয়। সে মাত্র ২৮-৩৭সে.মি পর্যন্ত দেখতে পারে।
? উচ্চতাঃ ৪৯.২-৪৯.৮ সে.মি
? ওজনঃ৩.৩-৩.৩ কেজি
? মাথার আকৃতিঃ ৩৩.৯-৩৪.৫ সে.মি
মূল পরিবর্তনঃ
.২ সপ্তাহ বয়সী নবজাতক অধিকাংশ সময় ঘুমেই কাটিয়ে দেয়। তবে কিছু সময় পর পর সে কান্নাকাটি করতে পারে। সেটা হতে পারে তার ক্ষুধা লাগার কারণ কিংবা ঘুমানোর জন্য কান্না। অতিরিক্ত শব্দ বা হট্টগোল সে পছন্দ করে না। নির্দিষ্ট সময় পরপর খাওয়া এবং ঘুম ছাড়া এই বয়সে শিশুদের মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না।
দৈহিক পরিবর্তনঃ
দুই সপ্তাহ বয়সে বাচ্চা মা/বাবার আঙুল শক্ত করে ধরে রাখতে পারে। তাছাড়া সে নিজে থেকে হাত পা নাড়া এবং এদিক-ওদিক মাথা ঘোরাতে পারে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে শিশুর নাভি পড়ে যায়। কিংবা কিছু সময় বেশিও লাগতে পারে। এই সময় সাধারণত শিশুদের বিলিরুবিন বাড়তে থাকে এবং জন্ডিস দেখা যায়। এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক। নিয়ম করে দুই বেলা রোদ দিলে আপনা আপনিই সেরে যাই।
? চিন্তার বিষয়ঃ
? শিশুর ওজন অতিরিক্ত কমে যাওয়া।
? নাভির কাছে পাকতে শুরু করা এবং গন্ধযুক্ত পুঁজ বের হওয়া।
? বিলিরুবিন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া।
বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবর্তনঃ
হাত-পা নেড়ে খেলা করা এবং কোন শব্দ শুনে এদিক ওদিক মাথা ঘুরানো সাধারণত দুই সপ্তাহ বয়সে বাচ্চার জন্য সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবর্তন।
? চিন্তার বিষয়ঃ
? আপনার শিশুর যদি এই সময়ে কোন রকম হাত পা নড়াচড়া না করে তাহলে সেটা চিন্তার বিষয় হতে পারে।
মানসিক এবং আচরণগত পরিবর্তনঃ
এই বয়সে শিশু শব্দ এবং আলো প্রতি সংবেদনশীল হয়। জোরে কোথাও শব্দ শুনে সে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে চেষ্টা করে। এছাড়াও সে তার মায়ের কন্ঠ এবং ঘ্রাণ অনুভব করতে পারে।
? চিন্তার বিষয়ঃ
? জোরে শব্দ শুনে নবজাতক যদি চমকে না উঠে তাহলে তা আপনার জন্য চিন্তার বিষয়।
স্বাভাবিক ঘুমের ধরনঃ
এই বয়সে বাচ্চা সাধারণত দিনে ১৫ থেকে ১৮ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকে। তবে একবার জাগার পর সে ৩০ মিনিট থেকে দেড় ঘন্টা পর্যন্ত জেগে থাকতে পারে।
? চিন্তার বিষয়ঃ
? ঘুমের সময় শরীরের ঝাঁকুনি দেওয়া কিংবা অতিরিক্ত কান্নাকাটি করা চিন্তার কারন হতে পারে।
খাবার এবং পুষ্টিঃ
ক্যালরি এবং ফুড চার্টঃ
এই বয়সে বাচ্চার দৈনিক ৩৬৮.৭ কিলোক্যালরি প্রয়োজন হয়। ক্যালরি চাহিদা নবজাতক তার মায়ের বুকের দুধ থেকেই পূরণ করে।
এছাড়া ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে যা পূরণ করতে বাচ্চাকে সকাল এবং বিকেলে হাল্কা রোদে রাখতে হবে।
যেসব বিষয়ে সাবধান থাকতে হবেঃ
এখন থেকে শিশুর প্রতি খুবই যত্নশীল হতে হবে। যদি ঘরে একাধিক বাচ্চা থেকে থাকে তাহলে কখনই শিশুকে একা ঘরে অন্য বাচ্চার সাথে রেখে যাওয়া যাবে না। এমন কোন খেলনা কিংবা বালিশ জাতীয় কিছু তার কাছাকাছি এমন ভাবে রাখা যাবেনা যেন যে কোন সময় সেটি বাচ্চার মুখের উপর পড়তে পারে। কারন বাবু নিজে নিজে এখন কিছুই করতে পারেনা, কোন কারণে যদি কোন কাপর বা বালিশ তার মুখের ওপরে এসে পড়ে তাহলে তা মারাত্মক বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
অভিভাবকদের জন্য টিপ্সঃ
আপনার বাবুর সাথে বেশি বেশি সময় কাটান। তাকে তার মায়ের শরীরের সাথে তার শরীরের স্পর্শ বেশি বেশি অনুভব করান। নির্দিষ্ট সময় পরপর বাবুকে বুকের দুধ পান করান এবং অবশ্যই এই সময় তাকে একদম বুকের সাথে মিশিয়ে রাখুন। এতে করে বাচ্চা তার মায়ের কোলের উষ্ণতা অনুভব করবে এবং তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।