সাধারন বিষয় গুলোঃ
✅ মুভিং অবজেক্ট ফলো করতে পারে।
✅ মা এবং বাবার ভয়েস আলাদাভাবে চিনতে পারে।
✅ ওজন বৃদ্ধি পাওয়া এবং ডাইপার র্্যাশ দেখা দেওয়া।
? উচ্চতাঃ ৫৬.১-৫৮.৪ সে.মি
? ওজনঃ ৫.৩-৫.৬ কেজি
? মাথার আকৃতিঃ ৩৮.৩-৩৯.১ সে.মি
মূল পরিবর্তনঃ
৯ সপ্তাহ বয়সে শিশুর ওজন তার জন্মের ওজনের থেকে প্রায় এক থেকে দেড় কেজি পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।এ সময় তার শ্রবণশক্তি আরো বেশি প্রখর হয়। সে দুটি ভিন্ন শব্দের মধ্যে পার্থক্য করতে শিখে। তার দৃষ্টিশক্তি আরো উন্নত হয়। খুব সামান্য পরিমাণে হলেও সে ত্রিমাত্রিক স্থান ও তার গভীরতা বুঝতে পারে।
দৈহিক পরিবর্তনঃ
এই বয়সে শিশু তার হাতে কোন কিছু ধরে রাখতে পারে। বিশেষ করে ঝুনঝুনি জাতীয় কোন খেলনা যদি তার হাতে দেওয়া হয় তাহলে সে সেটি নাড়িয়ে খেলা করতে পারে। এছাড়া সে হাঁটু থেকে তার পা ভাজ করতে শিখে। মুখ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ করে কথা বলার চেষ্টা করে।
? চিন্তার বিষয়ঃ
? যথেষ্ট পরিমান ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া এবং শারীরিকভাবে একটিভ না থাকা আপনার বাবুর জন্য ভালো নয়।
বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবর্তনঃ
আপনার বাবু এখন আপনার সাথে আরো বেশি ঘনিষ্ঠ আচরণ করবে। আপনি যখন তার কাছে থাকেন তখন সে আপনার মুখ স্পর্শ করতে চাইবে এবং চুল গুলা হাতের মুঠির মধ্যে ধরে টানাটানি করতে চাইবে। এটি ওর জন্য একটি আকর্ষণীয় খেলা। সে অন্য বাচ্চাদের সাথেও যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করে। যদিও সেখানে কোন কথোকপথন থাকেনা তবুও তাদের মধ্যে একটি সামাজিক যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
? চিন্তার বিষয়ঃ
? চারিদিকে প্রচুর পরিমাণে খেলনা থাকার পরেও যদি দেখেন আপনার বাচ্চা সেগুলিতে কোন আগ্রহ প্রকাশ করছে না কিংবা সব সময় চুপচাপ থাকে তাহলে সেটি একটি চিন্তার বিষয় হতে পারে।
মানসিক এবং আচরণগত পরিবর্তনঃ
আপনার শিশু সন্তান এখন তিন মাসে প্রবেশ করেছে। সে এখন অনেকটাই পরিপক্ক আচরণ করতে চায়। মায়ের দুধ খাওয়া সময় সে সঠিক নিয়মে দুধ খেতে পারে। খাওয়ার সময় সে অনেক সময় মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসে। এসময় সে মুখ দিয়ে গার্গেল এর মত শব্দ করা শিখে।গোসলের সময়ও সে অনেক বেশি আনন্দ পায়। বাবা মা ছাড়াও পরিবারের অন্যান্যদের সাথে তার একটি বন্ধন তৈরি হয়।
স্বাভাবিক ঘুমের ধরনঃ
আপনার বাবুর ঘুমের ধরন আস্তে আস্তে পরিবর্তন হতে থাকে। সে এখন কাত হয়েও ঘুমাতে পারে। বাবুর যদি মুখে চুষনী দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে তাহলে তা আস্তে আস্তে পরিবর্তন করা উচিত। স্বাভাবিকভাবে পেট ভরিয়ে খাইয়ে আপনার বাবুকে ঘুম পাড়ান। ফলে সে একটানা বেশ কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পার করবে।
খাবার এবং পুষ্টিঃ
এ সময় আপনার বাচ্চার খাবারের চাহিদা আরো বেড়ে যায়। তাই বলে তাকে বাইরের খাবার বা ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। বুকের দুধেই তার খাবারের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে প্রতিবার খাওয়ানোর সময় উভয় স্তনই সময় নিয়ে ভালোভাবে খাওয়ান। মনে রাখবেন আপনার বাবু ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ খেয়েই ভালো ভাবে বেড়ে উঠবে।
ক্যালরি এবং ফুড চার্টঃ
এই সপ্তাহ থেকে আপনার বাবুর প্রতিদিন ক্যালরি চাহিদা থাকে ৫৭৩.৪ কিলোক্যালরি।
যেসব বিষয়ে সাবধান থাকতে হবেঃ
যেহেতু বাবু এখন লম্বায় বৃদ্ধি পায় তাই তার পুরাতন কাপড়গুলি বিশেষ করে গায়ের কাথা পরিবর্তন করে নতুন কাপড় দিন। পুরাতন কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখলে তার বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। ঘুমের সময় খেয়াল রাখবেন যেন গায়ের কাথা বা কাপড় ওর মুখের ওপরে না পড়ে।
এই বয়সে বাবুর হাত-পা ছোঁড়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। তাই ওর গোসলের সময় সর্তকতা অবলম্বন করুন।
নির্দিষ্ট সময় পরপর ডায়াপার পাল্টে দিতে হবে নাহলে র্্যাশ ওঠার সম্ভাবনা থাকে।
অভিভাবকদের জন্য টিপসঃ
আপনার বাবুর সাথে এই সময় গুলি যত বেশি সম্ভব উপভোগ করুন । কেননা এসময়ের শিশু অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পায়। এবং প্রতিদিনের নতুন নতুন কার্যকলাপ শুরু করে। তাই তার মজার মজার কাজগুলি খুব দ্রুত পার হয়ে যায় এবং তা স্মৃতির পাতায় চলে যায়। তাই একটু কান্নাকাটি করলেও বিরক্ত না হয়ে আপনার শিশুর সুন্দর মুহূর্ত গুলো উপভোগ করার চেষ্টা করুন।