জ্বী হ্যাঁ, শিশুদের makeup করার অর্থাৎ লিপস্টিক কিংবা আই শ্যাডো লাগানোর যে প্রবণতা দেখা যায় তা খুবই স্বাভাবিক। শুধুমাত্র মেয়েশিশুরাই না ছেলে শিশুদের মধ্যেও এই প্রবনতা দেখা যায়। আমরা জানি, শিশুরা অনুকরণ করতে খুব ভালবাসে। এটি হল অনুকরণের ফল। অনেক শিশু আছে যারা বড়দের কাপড় পড়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে অনুকরণ করে। কখনো তাদের মা সাজে, কখনো বাবা আবার কখনো বড় ভাইবোন বা দাদা-দাদি,নানা-নানি। এভাবেই অনুকরণের মাধ্যমে তারা নিজেদের একটা অনন্য পরিচয় গড়ে তুলে। আপনার শিশু ছেলে হোক কিংবা মেয়ে তার সাজগোজের জিনিস নিয়ে খেলার অভ্যাসটিকে আপনি অন্য অভ্যাসগুলোর মতই দেখুন।
Category: ১ থেকে ৩ বছর বয়সী শিশু
শিশুকে নিরাপদে গোসল করানোর টিপস
১২ মাস থেকে ২৪ মাস বয়সী শিশুদের সারাক্ষণই চোখে চোখে রাখতে হয়। এই বয়সটাতেই শিশুরা হাটতে শেখে, কথা বলতে শেখে, বাইরের জগত চিনতে শিখে এবং চঞ্চলতাও বৃদ্ধি পায়। গোসলের সময়টায় এই বয়সী সব শিশুই খুব মজা পায়। এ সময় তারা খুবই উত্তেজিত থাকে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সামলানো কঠিন হয়ে দাড়ায়। এ সময় Safe bathing এর জন্যে কি কি নিরাপত্তা গ্রহন করা উচিৎ তা সম্পর্কে কিছু টিপস নিচে দেয়া হলঃ
আপনার শিশু কি অখাদ্য খায়?
খাবার নয় এমন যে কোনো কিছু খাওয়ার অভ্যাসকে ‘পিকা’ (Pica) বলা হয়। এক বছর থেকে ছয় বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। ছেলে-মেয়ে উভয় শিশুই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এক বছর থেকে দুই বছর বয়স থেকে সাধারণত এটি শুরু হয় এবং বয়স বাড়লে কমে যায়।
সর্দি-কাশি-জ্বরে শিশুকে কেন ওষুধ দেয়া উচিৎ নয়
আমাদের শিশুর সর্দি, কাশি বা জ্বর আসার সাথে সাথে আমরা যে কাজটা করি তা হল ওষুধ খাওয়ানো এই তিনটি অসুখই অত্যন্ত কমন যাতে এক-দু মাস পরপরই শিশুরা আক্রান্ত হয়। আপনি যদি আপনার শিশুকে এই তিনটি অসুখে আক্রান্ত হবার সাথে সাথে সিরাপ বা ওষুধ দিয়ে থাকেন তাহলে তা সময় এসেছে তা থামাবার! জ্বর, সর্দি, কাশিতে শিশুকে আর ওষুধ নয়। কেন নয় তা আসুন জেনে নেই।
শিশুর জন্যে সঠিক নিপলটি কিনছেন তো?
যে শিশুরা ফর্মুলা খায় তাদের জন্যে তো অবশ্যই, এছাড়াও যারা বুকের দুধ খায় তাদের জন্যেও ফিডার প্রয়োজন হয়। অনেক মাই বুকের দুধ মাম্প করে শিশুকে খাওয়ায়।
প্লেন জার্নিতে শিশু কাঁদলে কি করবেন?
প্রয়োজনের খাতিরে অনেক কাজেই প্লেনে যাতায়াত করতে হয়। বাসায় ছোট্ট শিশু থাকলে, বাবা-মা অনেক সময় তাকে নিয়েও প্লেনে ওঠেন। প্লেন বা বাসে শিশুরা মোশনের কারণে ভয় পেতে পারে বা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। জেনে নিন এক্ষেত্রে কি করা উচিৎ। ছোট শিশু নিয়ে প্লেনে যাতায়াত করা কিছুটা কষ্টকর কাজতো বটেই। তাই জার্নি শুরুর আগেই যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে রাখা ভাল।
শিশুদের আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা
শরীরে যে যে কারণে রক্তশূন্যতা হতে পারে তার মাঝে আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা সবচেয়ে বেশি হয়। পৃথিবীজুড়ে ৩০ ভাগ শিশু এ রোগে ভুগে। বাল্যকালে শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত করার পেছনে এ রোগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে?
শিশুর ডায়াপার থেকে র্যাশ হলে কি করবেন?
কাপড় নাকি ডিসপোজেবল কিছু? কোনটি বেছে নেবেন- এই ভাবনায় পড়েন অনেক বাবা-মা। বিশেষ করে নবজাতক শিশুকে নিয়ে এ ধরনের চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে। কিন্তু ছোট্ট শিশুর ক্ষেত্রে যে ধরনের ডায়াপার বা পোশাকই পড়ানো হোক না কেন, সমস্যা যা হওয়ার তার ঝুঁকি একই। কারণ, শিশুজীবনের প্রথম কয়েক বছর শিশুর নিচের পোশাকটির প্রধান কাজ হচ্ছে নিয়ন্ত্রণহীন প্রকৃতির ডাকপ্রসূত ফলকে ধারণ করা। সোজা কথায় শিশুর নিচের পোশাক অন্তত প্রথম এক-দুই বছর প্রস্রাব ও পায়খানার সংস্পর্শে বেশি আসে। আর এ কারণে শিশুর নিতম্বে লালাভ চাকার মতো বা ফুসকুড়ি হয়ে ভেসে উঠতে পারে। যাকে বলা হয় ডায়াপার র্যাশ বা নিচের পোশাকজনিত ত্বকের ফুসকুড়ি।
সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর কিছু রেসিপি, আপনার বাচ্চার জন্য
আপনার ছোট্ট সোনাকে খাওয়ানো একবারেই সহজ কাজ নয়। যখন বাচ্চাদের কোনও নতুন খাবার প্রথম খাওয়ানো হয়, তখন তারা সেটা অনেকসময় পছন্দ নাও করতে পারে। কারণ, বাচ্চারা যেহেতু সাধারণত বুকের দুধ বা প্যাকেটের দুধ খেতেই অভ্যস্ত হয়ে থাকে। তাই নতুন ভিন্ন স্বাদের খাবারের ওপর ভালোবাসা জন্মাতে তাদের কিছুটা সময় লাগে। বেশিরভাগ বাচ্চা মিষ্টি স্বাদের খাবার খেতে পছন্দ করলেও, অনেকে কিন্তু তা করে না। বাচ্চাদের জন্য এই বিশেষ রেসিপিগুলো বানিয়ে দেখুন তো, ওদের পছন্দ হয় কি না! শুধু একটা কথাই মনে রাখবেন, বাচ্চার খাবারে বেশি চিনি মেশাবেন না।
যেভাবে আপনার বাচ্চাকে ঘরের টুকিটাকি কাজ করায় অভ্যস্ত করবেন
সাধারণত ১ থেকে ৩ বছরের শিশুদের Toddler বলা হয়। Toddler থেকে ৬/৭ বছরের শিশুরা সাধারনত একটু বেশী চঞ্চল হয় আর তারা সবধরনের কাজ আগ বাড়িয়ে নিজে নিজে করতে চায়। তারা সবকিছুতে স্বাধীনতা চায়। বাবা-মা যেভাবে যা যা করে তারাও সেগুলো করতে চায়। এটা তার বয়সের জন্য খুবই স্বাভাবিক। বাবা-মা, শিক্ষকরা কিন্তু এইক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। এই বয়সে যদি আপনি তাকে ঘরের কাজ বা Chores করায় অভ্যস্ত করতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে আপনি তার দায়িত্ববোধের ব্যাপারটাও হয়তো নিশ্চিত করতে পারবেন। এতে সে স্বাবলম্বী হয়ে বেড়ে উঠতে শিখবে।