এই বয়সে শিশুরা তার খেলার জগত থেকে আস্তে আস্তে সরে এসে বইয়ের প্রতি মনোনিবেশ করে। সে নতুন নতুন রং এর নাম, বর্ণমালা, বিভিন্ন শেইপের নাম শিখে। তাকে কোন বইয়ের গল্প পড়ে শুনালে সেটা বিস্তারিত বুঝতে পারে। এছাড়াও বাসার অন্যান্য সদস্যদের নিজেদের মধ্যে যা আলোচনা হয় সেগুলিও সে খেয়াল করে এবং বুঝতে পারে। পিতা-মাতার সাথে এই সময় তার একটি আলাদা বন্ডিং তৈরি হয় এবং তাদের সাথে খেলাধুলা করতে চায়। নতুন নতুন বন্ধু তৈরি করে। তাকে এখন আলাদা বিছানায় দেওয়ার মতো উপযুক্ত হয়ে ওঠে। সে অন্ধকারে ভয় পায় তবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
Category: ১ থেকে ৩ বছর বয়সী শিশু
৩৩ মাস বয়সী সন্তানের জন্য যা কিছু জানা প্রয়োজন
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই বয়সে বাচ্চাদের মধ্যে না খাওয়ার কারণে পুষ্টির ঘাটতি হওয়া শুরু করে। আপনার সন্তান যদি খাওয়ার ব্যাপারে খুবই খুঁতখুঁতে হয় এবং একেবারেই খাওয়া-দাওয়া করতে না চায় তাহলে তার ওজন কমতে শুরু করে এবং স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়। অপুষ্টিজনিত নানা রকম সমস্যায় ভুগতে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে দেরি না করে বাবুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। খাওয়া প্রতি অনীহা আগে থেকেই শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিলম্ব না করে তাকে বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়াই ভালো। এইসময় বাবুর মধ্যে দিনে দিনে নানা রকম পরিবর্তন কাজ করে। সে অন্যদের আবেগ অনুভূতি গুলো বোঝার চেষ্টা করে। তার চারপাশে কেউ খুশি হলে সেও খুশি হয় আবার কোন বাচ্চা কান্নাকাটি করলে সেও দুঃখী হয়ে যায়।
৩৪ মাস বয়সী সন্তানের জন্য যা কিছু জানা প্রয়োজন
এই সময়ে শিশুদের মধ্যে মানসিক দক্ষতাগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সে অক্ষর চিনতে শুরু করে এবং সেগুলি আরো বেশি মনে রাখে। এছাড়াও নানা রকম জিনিসপত্র রং এবং আকার অনুযায়ী পৃথক করতে শিখে। এই বয়সে এসে তার পছন্দ এবং অপছন্দের অনুভুতিগুলো আরো বেশি জোরালো হয়। সবকিছুতে সে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে।
৩৫ মাস বয়সী সন্তানের জন্য যা কিছু জানা প্রয়োজন
আপনার শিশু খুব তাড়াতাড়ি তিন বছরের মাইলস্টোন গুলো অতিক্রম করতে চলেছে। এই বয়সে শিশুরা নিজেই নিজের কাজ গুলো করতে ভালোবাসে। সে নিজে নিজে ব্রাশ করার সময় তার নার্সারি রাইমস এ দেখা গানটি গুনগুনিয়ে গায় আর বারবার ব্রাশ করতে চায়। এখন সে টেবিলে বসে আপনাদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। এই সময় তার নিজস্ব প্লেট, গ্লাস, চামচ ইত্যাদি তাকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে। সে যদি ঠিকমতো খাবার খেতে না চায় তাহলে চিন্তিত না হয় তাকে বুঝিয়ে কিংবা বারবার চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। তবে কখনই তার সাথে জোর জবরদস্তি করা ঠিক হবে না।
প্যারেন্টিং এবং অপরাধবোধ
বাচ্চা মানুষ করার ক্ষেত্রে বাবা মায়েরা জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে নানা রকম অপরাধবোধের মধ্যে দিয়ে পার করেন। সবকিছু সামলে সন্তানকে প্রপারলি গোড়ে তোলা মোটেও সহজ কথা নয়। এই জার্নিতে তাই মাঝে মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করা খুব এ স্বাভাবিক। এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন আরিফুজ্জামান সুমন।
শিশুর মানসিক বিকাশে সৃজনশীল কাজগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ?
শিশুরা মুক্ত মনের অধিকারী। তাদের কল্পনা শক্তিও প্রখর। তাই সৃজনশীল কাজে তাদের আগ্রহও থাকে অনেক বেশি। সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই যদি সৃজনশীল কাজে সংযুক্ত করা যায় তাহলে সে একজন মুক্তমনা মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
শিশুকে ২৪ ঘণ্টা ডায়পার পরানো ভাল নাকি খারাপ !!
এখনকার দিনে ডায়পার শিশুদের জন্য একটি অপরিহার্য পণ্য। বাবা মায়েরা তাদের সন্তান এবং নিজেদের সুবিধার জন্য দিনের অধিকাংশ সময় শিশুদের ডায়পার পরিয়ে রাখতে চান। কিন্তু এভাবে অনেকটা সময় ডায়পার পরিয়ে রাখা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা ভেবে দেখেছেন কি?
সন্তানের সকালের নাস্তা এবং মায়েদের দুশ্চিন্তা
প্রতিদিন সকালে উঠেই মায়েরা যেন এক আতঙ্কে পড়ে যান সন্তানের নাস্তা বা খাবার নিয়ে। আর সন্তানের বয়স যদি হয় এক থেকে পাঁচ এর মধ্যে তাহলে তো কথায় নেই। কারণ এই বয়সেই শিশুর খাবার নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় মায়েদের। এই চিন্তা পুরোপুরি দূর করা সম্ভব না হলেও কিছু উপায় অবলম্বন করে হয়ত কিছুটা কমিয়ে আনা যায়।
বাচ্চাকে কেন খিচুড়ি খাওয়াবেন?
বাচ্চাদের খিচুড়ি খাওয়ানো নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই লেখাটি লিখেছেন চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল এর সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা পুষ্টিবিদ মোঃ ইকবাল হোসেন। সরাসরি তার লেখনীতে জেনে নিন আপনার সন্তানকে খিচুড়ি খাওয়ানোর উপকারিতা।
চাইল্ড ওবেসিটি
চাইল্ড ওবেসিটি নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যৌক্তিক লেখাটি লিখেছেন চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল এর পুষ্টিবিদ মোঃ ইকবাল হোসেন।