এই বয়সের শিশুরা তার নিজস্ব বিশ্বাসের একটি আলাদা ভুবন তৈরি করে এবং সেখানে বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করতে পছন্দ করে। তার কাল্পনিক ভুবন থেকে সে বিভিন্ন গল্প তৈরি করে এবং সেগুলো আপনাকে শোনাতে খুব ভালোবাসে। বাস্তবে সে তার নিত্যদিনের রুটিন অনুসরণ করে চলে। আপনার দেওয়া সকল জটিল নির্দেশনাগুলো সে বুঝে অনুসরণ করতে পারে। তার শারীরিক গঠনেও অনেক বেশি পরিপূর্ণতা আসতে শুরু করে। দৌড়ানোর সময় সে তার দুই হাত দোলাতে থাকে, এতে করে সে আরও দ্রুত দৌড়াতে পারে এবং তার শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে।
Category: ৩ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু
৫৭ মাস বয়সী সন্তানের জন্য যা কিছু জানা প্রয়োজন
আপনার সন্তান পাঁচ বছরের কাছাকাছি চলে এসেছে। এখন সে বর্ণমালা পড়তে এবং লিখতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে দুই অক্ষরের শব্দ পড়তে পারে। সে কিছু সংখ্যা লিখতে পারে। এই বয়সে সে অন্যের ব্যথায় ব্যথিত হয়, অন্যের খুশিতে আনন্দিত হয়। তার মধ্যে মিথ্যা বলার প্রবণতা দেখা দেয় কেননা সে ভয় পায় যদি সত্য বলার কারণে তাকে শাস্তি পেতে হয়!!
৫৮ মাস বয়সী সন্তানের জন্য যা কিছু জানা প্রয়োজন
আপনার সন্তানের স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এখন সে দুই থেকে তিনটি অক্ষরের শব্দ পড়তে পারে। অনেক সময় বাসার ঠিকানা সম্পূর্ণ মুখস্ত করে ফেলে। তাকে সাথে নিয়ে বই পড়লে সে সহজেই শিখতে পারবে। নিজে নিজে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে জামার বোতাম লাগাতে পারে। বল ক্যাচ ধরতে এবং ছুড়ে মারতে পারে। এই বয়সে তাঁর খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বেশি বেশি খেয়াল রাখতে হবে, কেননা তার বাড়ন্ত শরীরে ক্যালসিয়াম সহ অন্যান্য ভিটামিনের প্রয়োজন পড়ে।
৫৯ মাস বয়সী সন্তানের জন্য যা কিছু জানা প্রয়োজন
আপনার সন্তান খুব শীঘ্রই ৫ বছরের মাইলফলক অতিক্রম করতে চলেছে। সে এখন নিজে নিজেই তার সব কাজ করতে পারে। পানির বোতলের মুখ খুলে পানি ঢালা থেকে শুরু করে আবার মুখ আটকে রাখা, বাটার নাইফ দিয়ে পাউরুটিতে বাটার লাগানো কিংবা চামচ দিয়ে খাওয়া সহ মোটামুটি সব ধরনের কাজই সে নিজে নিজে করতে পারে। সে এখন দ্রুততার সাথে পেছনের দিকে হাঁটতে পারে এবং উঁচু থেকে নিচের দিকে লাফ দিতে পারে। সে তার আবেগগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে ভাষায় প্রকাশ করে।
৬০ মাস বয়সী সন্তানের জন্য যা কিছু জানা প্রয়োজন
অভিনন্দন!! আপনার সন্তান এখন ৫ বছরের বড় বাচ্চা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এখন থেকে তাকে জীবনের নিয়ম কানুনের শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। তাকে ঠিকমতো হাত ধোঁয়ার অভ্যাস করাতে হবে যেন স্কুল এ গিয়ে সে সঠিকভাবে হাত ধুতে পারে এবং রোগজীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পায়। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। তার সাথে বেশি বেশি কথা বলতে হবে, বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময় সারাদিনে সে কি কি করেছে এইসব প্রশ্ন করে তার সাথে মিথস্ক্রিয়তা বজায় রাখতে হবে। আপনার সন্তান এখন অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারনা রাখে। এছাড়াও সে তার গল্পের বইয়ের গল্প গুলোর শুরু, মধ্যে এবং শেষ অংশও বুঝতে পারে। মোটকথা সে এখন অনেকটাই বড়দের মত আচরণ করে।
প্যারেন্টিং এবং অপরাধবোধ
বাচ্চা মানুষ করার ক্ষেত্রে বাবা মায়েরা জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে নানা রকম অপরাধবোধের মধ্যে দিয়ে পার করেন। সবকিছু সামলে সন্তানকে প্রপারলি গোড়ে তোলা মোটেও সহজ কথা নয়। এই জার্নিতে তাই মাঝে মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করা খুব এ স্বাভাবিক। এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন আরিফুজ্জামান সুমন।
শিশুর মানসিক বিকাশে সৃজনশীল কাজগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ?
শিশুরা মুক্ত মনের অধিকারী। তাদের কল্পনা শক্তিও প্রখর। তাই সৃজনশীল কাজে তাদের আগ্রহও থাকে অনেক বেশি। সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই যদি সৃজনশীল কাজে সংযুক্ত করা যায় তাহলে সে একজন মুক্তমনা মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
সন্তানের সকালের নাস্তা এবং মায়েদের দুশ্চিন্তা
প্রতিদিন সকালে উঠেই মায়েরা যেন এক আতঙ্কে পড়ে যান সন্তানের নাস্তা বা খাবার নিয়ে। আর সন্তানের বয়স যদি হয় এক থেকে পাঁচ এর মধ্যে তাহলে তো কথায় নেই। কারণ এই বয়সেই শিশুর খাবার নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় মায়েদের। এই চিন্তা পুরোপুরি দূর করা সম্ভব না হলেও কিছু উপায় অবলম্বন করে হয়ত কিছুটা কমিয়ে আনা যায়।
চাইল্ড ওবেসিটি
চাইল্ড ওবেসিটি নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যৌক্তিক লেখাটি লিখেছেন চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল এর পুষ্টিবিদ মোঃ ইকবাল হোসেন।
পুষ্টিকর খাবার কিভাবে আপনার সন্তানের ব্রেইন ডেভেলাপমেন্টে সাহায্য করে?
অভিভাবক হিসাবে আমরা সন্তানের সঠিক বেড়ে উঠা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চাই। আপনি নিশ্চয়ই জানেন
একটা শিশু কি খাচ্ছে তার সাথে তার ব্রেইন ডেভেলাপমেন্ট সরাসরি যুক্ত। কিন্তু আসলে কতটা গুরুত্বপুর্ণ?
আজকে আমরা এই লেখায় এটাই জানবো পুষ্টিকর খাবারের সাথে আপনার সন্তানের মস্তিস্ক বিকাশের সংযোগ
কতটা।