শরীরে যে যে কারণে রক্তশূন্যতা হতে পারে তার মাঝে আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা সবচেয়ে বেশি হয়। পৃথিবীজুড়ে ৩০ ভাগ শিশু এ রোগে ভুগে। বাল্যকালে শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত করার পেছনে এ রোগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে?
কোন কোন খাবারে আয়রন থাকে?
– মাংস
– কলিজা
– মাছ
– শিম
– ডাল
– শুকনো ফল
– সবুজ শাকসবজি (যেমন : কলা, কচু ইত্যাদি)
কি কি কারণে শিশুদের আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা হয়ে থাকে?
১. শিশু যদি মায়ের গর্ভে ৩৭ সপ্তাহ থাকার আগেই জন্মগ্রহণ করে।
২. জন্মের সময় যদি কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে (২৫০০ কেজির কম)।
৩. যদি শিশুকে বুকের দুধ প্রয়োজনীয় মাত্রায় খাওয়ানো না হয়।
৪. শিশুকে মায়ের দুধের পাশাপাশি যখন অন্যান্য খাবার শুরু করা হয়, সে খাবারে যদি আয়রন কম থাকে (যেমন : সুজি, বার্লি, জাউ ইত্যাদি)।
৫. শিশু যখন দ্রুত বড় হতে থাকে।
৬. কোনও কারণে শিশুর শরীরে লুকায়িত রক্তপাত হতে থাকলে।
৭. কৃমির সংক্রমণ হলে।
৮. দীর্ঘ সময় ধরে ডায়রিয়া থাকলে কিংবা বারবার ডা
কি কি উপসর্গ থাকে?
১. শিশুটি অল্পতেই বিরক্ত হবে, অতিরিক্ত কান্নাকাটি করবে।
২. দুর্বল থাকবে।
৩.খেতে চাইবে না।
৪.বুদ্ধিমত্তা অন্যদের তুলনায় কম থাকবে।
৫. মাটি, পাথর, চুনজাতীয় খাবার খাবে।
৬. বরফ বা ঠাণ্ডা খাবারের প্রতি আসক্তি বেশি থাকবে
কি কি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়?
১. কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট
২. পেরিফেরাল ব্লাড ফিল্ম
৩. সেরাম আয়রন প্রোফাইল
৪. মলের রুটিন এবং মাইক্রোস্কোপি পরীক্ষা ইত্যাদি
কীভাবে চিকিৎসা করা হয়?
– প্রথমেই শিশুর মা-বাবাকে রোগটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়, এর চিকিৎসা সম্পর্কে বলা হয়, সম্ভাব্য জটিলতা সম্পর্কে জানানো হয়, এ রোগের আরোগ্য সম্ভাবনার কথাও বলা হয়।
– বেশি বেশি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে বলা হয়।
– যেসব খাবারে আয়রন কম থাকে সেগুলো পরিহার করতে বলা হয়।
– যেসব খাবার আয়রন শোষণে হস্তক্ষেপ করে সেসব খাবার পরিহার করতে বলা হয়। যেমন : চা, কফি ইত্যাদি।
– মুখে আয়রন ট্যাবলেট খেতে দেওয়া হয়। ৩-৬ মাস খেতে হয়।
– কি কারণে শিশুর এ সমস্যা হচ্ছে সে কারণ খুঁজে বের করে তার সমাধান করা হয়। যেমন : কারও যদি কৃমির সংক্রমণ হয়ে থাকে, তবে কৃমিনাশ
কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
এ রোগটি প্রতিরোধ যোগ্য।
১। শিশুকে জন্মের পরে প্রথম ৬ মাস কেবলমাত্র বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
২। বাচ্চার বয়স ৬ মাস পূর্ণ হয়ে যাবার পর আয়রন যুক্ত খাবার বেশি বেশি খাওয়ানো। যেমন: কলা, ডিমের কুসুম, খিচুড়ি এছাড়া মাটির নিচে যেসব সবজি জন্মায় সেগুলো।
৩। প্রতি ৪-৬ মাসে একবার বাচ্চাকে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে।
৪। যেসব শিশু ৩৭ সপ্তাহের আগেই জন্মগ্রহণ করে, তাদের ক্ষেত্রে দেড় মাস বয়স থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন খাওয়ানো শুরু করতে হবে।
আপনার পরিবারের পুষ্টি নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে শক্তি+ প্রোডাক্ট কিনুন এই লিঙ্কে:
https://www.grameendanone.net/