শিশুদের জনপ্রিয় লার্নিং ব্রান্ড গুফি সম্প্রতি আটঘাট বেঁধে শিশুদের খেলনা ও লার্নিং আইটেম তৈরি শুরু করেছে। কিন্তু কেন গুফি নিরাপদ খেলনা নিয়ে এতো বেশি জোর দিচ্ছে?
যারা গুফি ব্রান্ড সম্পর্কে জানেন, তারা জানেন যে গুফি সবসময় শিশুদের উপযোগী হাই কোয়ালিটি লার্নিং প্রোডাক্ট তৈরি করে। এরমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে গুফির বই।
গুফির হ্যান্ড পাপেট বেশ কিছু বছর থেকেই জনপ্রিয়। পাশাপাশি ২০২৩ সালে গুফির ফ্ল্যাশকার্ড সেটগুলো লার্নিং প্রোডাক্ট হিসাবে ২-৪ বছর বয়সী শিশুদের এবং তাদের অভিভাবকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে।
হঠাৎ করেই বাংলাদেশের শিশুদের খেলনা নিয়ে কয়েকটা পত্রিকার রিপোর্ট চোখে পড়ে গুফির ফাউন্ডার ওয়ালিউল্লাহ ভূঁইয়ার। ESDO নামের এই প্রতিষ্ঠানের গবেষনায় দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের ৮০% খেলনায় মাত্রাতিরিক্ত টক্সিক ক্যামিকেল পাওয়া যাচ্ছে। এইসব টক্সিক মেটাল ও ক্যামিকেল শিশুদের কিডনিসহ তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ভীষণ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশের ৮৫% অভিভাবক জানেনই না যে তাদের কেনা খেলনাগুলোতে এই ধরণের ক্ষতিকর ক্যামিকেল পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে খেলনা কেনার সময় তারা সতর্কই বা হবেন কিভাবে?
খেলনার পাশাপাশি একই ধরণের ক্ষতিকর মেটাল ও ক্যামিকেল পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের স্টেশনারি আইটেম, পানির বোতল ইত্যাদি প্রোডাক্টে।
ওয়ালিউল্লাহ ভুঁইয়ার নিজেরও একটা ৩ বছর বয়সী শিশু আছে। আরও লক্ষ লক্ষ অভিভাবকদের মতো তিনিও জানতেন না যে বাংলাদেশে এক্সপোর্ট হয়ে আসা কিংবা লোকালি বানানো সব খেলনার মধ্যেই এরকম টক্সিক মেটাল আছে। খাবারের ক্ষেত্রে যেমন একটা সার্টিফিকেশন আছে, খেলনার ক্ষেত্রে এমন কোন সার্টিফিকেশন নেই। তাই খেলনার মধ্যে যে এমন ক্ষতিকর বিষাক্ত মেটাল ও ক্যামিকেল আছে, সেটাও চেক করার কোন প্রসেস নেই রাষ্ট্রীয়ভাবে।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য এবং অভিভাবকদের কাছে টক্সিক-ফ্রি, নিরাপদ খেলনা তুলে দেয়ার লক্ষ্যে গুফি শুরু করে শিশুতোষ খেলনা নিয়ে গবেষণা। চাইল্ড ও এডুকেশন এক্সপার্ট সাথে পরামর্শ, বিদেশী বিভিন্ন গাইডলাইন অনুযায়ী অবশেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় গুফি কি ধরণের খেলনা তৈরি করবে।
তারই ভিত্তিতে গত ১ বছর ধরে বিভিন্ন ধরণের খেলনা নিয়ে গবেষণা চলতে থাকে। মার্কেটে অল্প অল্প প্রোডাক্ট দিয়ে টেস্ট করা হয়। অভিভাবক ও শিশুদের ফিডব্যাক নেয়া হয়। সবশেষে বাজারে সেগুলো আনা হতে থাকে।
এখন বর্তমানে নবজাতক থেকে শুরু করে ৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য গুফির বিভিন্ন খেলনা তৈরি হয়েছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ধরণের খেলনা নিয়ে গবেষনা চলছে। এবং কিভাবে সেগুলো দেশের পাশাপাশি বাইরে রপ্তানি করা হবে সেটা নিয়ে কাজ চলছে।
গুফির ফাউন্ডার ওয়ালিউল্লাহ ভূঁইয়া চান দেশের প্রতিটি শিশু যেন নিরাপদ একটা খেলনা দিয়ে খেলতে পারে এবং খেলতে খেলতে নতুন কিছু শিখতে পারে।
গুফির খেলনাগুলো কেন অন্য সব খেলনার চেয়ে আলাদা?
গুফি ব্রান্ডের মূল প্রতিষ্ঠান লাইট অফ হোপ একটি ইমপ্যাক্ট-ফোকাসড কোম্পানি, যার মূল লক্ষ্য শিশুদেরকে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য দক্ষ করে গড়ে তোলা।
কিন্তু কেবল শিশুদের শিক্ষা নয়, বরং তরুণদের (বিশেষ করে নারীদের) স্কিল ও উপার্জনের সুযোগ করে দেয়াও তাদের কাজের একটা অন্যতম অংশ।
তাই গুফি যখন খেলনা তৈরি করে, তখন কেবল নিরাপদ খেলনা তৈরি করার মধ্যেই নিজেদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখেনি। বরং মোট ৬টি জিনিসের উপর ফোকাস করে খেলনা বানায়।
প্রাকৃতিক ফাইবার, কাঠ ও অন্যান্য অরগানিক ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি যা মুখে দিলেও কোন ক্ষতি হবে না।
Toxic-free, with no harmful chemicals for children’s health. Made from natural fiber, wood and other organic materials.
গুফির খেলনা প্লাস্টিক খেলনার ব্যবহার কমায়। দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায় বলে, ছোট ভাইবোনরাও খেলতে পারে। হাতে তৈরি ইকো-ফ্রেন্ডলি গুফির খেলনা পরিবেশে গ্রিনহাউস গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
চাইল্ড এক্সপার্ট ও এডুকেশন এক্সপার্টদের দ্বারা খেলনাগুলো ডিজাইন করা যেন শিশুরা খেলতে খেলতে শিখে ও তাদের মোটর স্কিল, সোশ্যাল স্কিল বাড়ে।
প্রতিবার গুফির খেলনা কাউকে উপহার দেয়ার মানে হচ্ছে একজন নারীকে উপার্জনের সুযোগ করে দেয়া। সেই উপার্জন তিনি তার নিজের সন্তানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য কিংবা পুষ্টিকর খাবারের পিছনে খরচ করতে পারেন।
Each time you purchase, the artisans earn money. They invest on their children’s health and education.
গুফির খেলনাগুলো দেখতে ক্লিক করুন