ToguMogu
ToguMogu
article.title
 Sep 25, 2020
 6332

শিশুর বুদ্ধি বিকাশ বা Brain Development

আপনি কি জানেন আপনি যখন থেকে কনসিভ করেন, তখন থেকেই আপনার শিশুর Brain Development শুরু হয়?মায়ের গর্ভে থাকাকালীন যে পুষ্টি শিশুর দেহে সরবরাহ হয়, তাই নিশ্চিত করে তার Brain Development এর প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা। এছাড়াও জিনগত এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের প্রভাবও শিশুর brain Development এ ভূমিকা রাখে। জিনগত ব্যাপারগুলো পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু সঠিক পুষ্টি ও বিকাশে সহায়ক ভালো পরিবেশ চাইলে শিশুর জন্য নিশ্চিত করা যায়। কারন, যেকোনো মানুষের মস্তিষ্কের কোষগুলোর ৯০% বিকাশ তার জন্মের প্রথম ২ বছরে হয়ে যায়।

Brain Development এ খাদ্য ও পুষ্টির ভূমিকাঃ

গর্ভকালীন সঠিক পুষ্টি শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারে।

১। DHA ও ভিটামিন-ইঃ

DHA হচ্ছে একধরনের ওমেগা-৩ ফ্যাটী এসিড। এটা Brain Development এবং নিউরোলজিক্যাল ফাংশনের এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের মস্তিষ্কের কোষগুলোর বিকাশ এবং এদের মাঝে কানেকশনের জন্যও এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। DHA তাপে সহজেই নষ্ট বা ক্ষয় হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াকে বলে অক্সিডেশন। প্রাকৃতিক ভিটামিন-ই কিন্তু খুব ভালো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ভিটামিন-ই লুটেইন নামক এক উপাদানের সাথে মিলে DHA কে রক্ষা করে।

২। প্রাকৃতিক ভিটামিন-ই সবচেয়ে ভালোঃ

কৃত্তিম বা সিনথেটিক ভিটামিন-ই এর চেয়ে প্রাকৃতিক ভিটামিন-ই ভালো। কারণ, প্রাকৃতিক ভিটামিন-ই দ্বিগুণ কার্যকারী। প্রাকৃতিক ভিটামিন-ই পেতে পারেন চীনাবাদাম, এলমন্ড, কাজুবাদাম, সয়াবিন তেল, সূর্যমুখীর তেল, পালংশাক ইত্যাদিতে।

৩। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে ভিটামিন-ইঃ

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাকৃতিক ভিটামিন-ই মস্তিষ্কের ভাষাগত দক্ষতা এবং ভিজ্যুয়াল মেমোরির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। গর্ভকালীন সময়ে শিশুর মস্তিষ্ক গঠিত হতে থাকে, তাই পুষ্টির নিশ্চয়তা কিন্তু পুরোটাই মায়ের উপর নির্ভর করে। মায়েদের তাই পুষ্টিকর ডায়েট অনুসরণ করা উচিৎ। জন্মানোর পর শিশুকে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানো উচিৎ। বুকের দুধই ২ বছর পর্যন্ত শিশুর সব প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেয়।

দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে শিশুর জন্য Brain Exercise:

শিশুরা তাদের প্রথম ২বছরেই কথা চালানোর মত প্রয়োজনীয় সব শব্দ শিখে যায়। এটা তাড়াতাড়ি শিখতে পারার দক্ষতা তার IQ Development এর উপর ভূমিকা রাখে। তাই, বাবা-মায়ের উচিৎ শিশুদের সাথে কথাবার্তা বলা, গল্প করা। এটা শুরু হওয়া উচিৎ শিশু গর্ভে আসার পর থেকেই।

ভ্রূণ থাকাকালীন বা গর্ভে থাকাকালীন শিশুরা বাইরের আওয়াজ বা শব্দ শুনতে পায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, শিশুরা বাবা বা অপরিচিত কার গলারস্বর শুনে চিনতে না পারলেও, মায়ের কণ্ঠস্বরে তারা সাড়া দেয়। শিশুদের মানসিক ও সামাজিক দক্ষতা শিশুর যোগাযোগ করার ক্ষমতাকে উন্নত করে। যেমন, আপনি যখন শিশুর সাথে ঘরের কাজ করেন বা তাকে দিয়ে ছোটখাটো কোন দায়িত্ব পালন করান, সে আস্তে আস্তে দৈনন্দিন জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে শিখে যায়। তবে আপনারও উচিৎ কাজ করায় তাকে উৎসাহিত করা এবং ভালো কাজ দেখালে তাকে মূল্যায়ন করা।

শিশুর বিকাশ ও বেড়ে ওঠা গর্ভকালীন ৪০তম সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে যায়। কিন্তু গর্ভকালীন সময় থেকে তার বিকাশ শুরু হলেও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, আপনার শিশু সবকিছুই নতুন নতুন শিখছে। তাই তাকে কঠিন কাজের দায়িত্ব না দিয়ে তার উপযোগী সঠিক কাজ দিয়ে তাকে শেখান।

ToguMogu App