খাবার নয় এমন যে কোনো কিছু খাওয়ার অভ্যাসকে ‘পিকা’ (Pica) বলা হয়। এক বছর থেকে ছয় বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। ছেলে-মেয়ে উভয় শিশুই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এক বছর থেকে দুই বছর বয়স থেকে সাধারণত এটি শুরু হয় এবং বয়স বাড়লে কমে যায়।
Articles
শিশুর স্কুলভীতি ও তার প্রতিকার
আপনার শিশু কি স্কুলে যেতে ভয় পায়? স্কুলে যেতে না চাওয়া, ব্যাখ্যাতীত ভয়, ঘর ছেড়ে যেতে অনর্থক উদ্বেগ, মাকে ছাড়তে না চাওয়া ইত্যাদিকে স্কুলভীতি বা School Phobia হিসেবে সনাক্ত করা হয়ে থাকে। স্কুলভীতিতে আক্রান্ত শিশু বাসায় থাকতে চায়, স্কুলে যেতে চায় না। মাঝে মাঝে লম্বা ছুটির পর স্কুল শুরু হলে শিশুকে স্কুলে ফেরাতে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। কখনও কখনও পেটব্যথা বা মাথাব্যথার মিথ্যা অভিযোগ তুলে স্কুল ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। আবার শিশুর ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিয়ে সন্তানকে আতঙ্কিত করে তোলার মত মা বাবাও বিরল নয়।
সর্দি-কাশি-জ্বরে শিশুকে কেন ওষুধ দেয়া উচিৎ নয়
আমাদের শিশুর সর্দি, কাশি বা জ্বর আসার সাথে সাথে আমরা যে কাজটা করি তা হল ওষুধ খাওয়ানো এই তিনটি অসুখই অত্যন্ত কমন যাতে এক-দু মাস পরপরই শিশুরা আক্রান্ত হয়। আপনি যদি আপনার শিশুকে এই তিনটি অসুখে আক্রান্ত হবার সাথে সাথে সিরাপ বা ওষুধ দিয়ে থাকেন তাহলে তা সময় এসেছে তা থামাবার! জ্বর, সর্দি, কাশিতে শিশুকে আর ওষুধ নয়। কেন নয় তা আসুন জেনে নেই।
গর্ভাবস্থায় হেপাটাইটিস বি; কি করণীয়?
নিশি প্রথমবারের মত মা হতে চলেছে। আনন্দের সীমা নেই অনাগত সন্তানকে ঘিরে। এরইমাঝে সে রেগুলার ডাক্তার চেক আপ এ গিয়ে জানতে পারলো সে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস এ আক্রান্ত। নিশি সহ পুরো পরিবার এখন হতবাক। কিছুই বুঝতে পারছে না এখন তারা কি করবে! আর নবাগত সন্তানেরই বা কি হবে? নিশির মত বাংলাদেশে প্রায় ৩.৫% গর্ভবতী মায়েরা হেপাটাইটিস বি ভাইরাস বহন করছে (ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর মতে)। তাই প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের উচিৎ এই রোগ সম্পর্কে জেনে রাখা যাতে গর্ভাবস্থায় সঠিক সিদ্ধান্ত
গর্ভবতী স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব
একটি সন্তানের দায়িত্ব বাবা-মা দুইজনেরই সমান। মায়ের দায়িত্ব শুরু হয় বাচ্চা গর্ভে ধারণের মাধ্যমে, আর বাবার দায়িত্ব শুরু হয় তার গর্ভবতী স্ত্রীর যত্ন নেয়ার মাধ্যমে। আমাদের দেশে স্বামীদের মধ্যে এখনও গর্ভবতী স্ত্রীর যত্নের ব্যাপারটা ঐভাবে আসেনি। অনেকে জানেনই না, এই সময়ে মেয়েদের মানসিক এবং শারীরিক কি কি পরিবর্তন আসে। হাসিখুশি মেয়েটা কেন কথায় কথায় কেঁদে ফেলে অথবা একদম শান্ত মেয়েটা কেন ছোটখাটো ব্যাপারে রেগে মেগে একাকার হয়, তার সঙ্গীর জন্য এটা বের করাও কম কঠিন কাজ না। গর্ভবতী স্ত্রীর প্রতি আপনার কি মনোভাব হওয়া উচিত, সেটা নিয়েই এই লিখাটি-
শিশুকে স্মার্ট করে তুলতে চান? এই ৮ টি ধাপ মাথায় রাখুন
তো, আপনার শিশুকে স্মার্ট হিসাবে গড়ে তুলতে চান? আপনি একা নন। কে না চায় বলুন? এই জন্যই তো শিশুকে স্মার্ট বানানোর জন্য আপনি সেইসব খাবার কিনেন যেগুলোর বিজ্ঞাপন বলে আপনার শিশুকে স্মার্ট বানাবে, আপনি শিক্ষামূলক খেলনা কিনেন, আবার শিশুর বয়স কোনোমতে ৩ বছর পার হতে না হতেই স্কুলে দেয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। কারণ আপনি শুনেছেন শিশুকে আগে আগে কিন্ডারগার্ডেনে না দিলে আপনার শিশু অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে যাবে – মানে অন্য শিশুর চেয়ে কম স্মার্ট হবে। শিশুকে স্মার্ট হিসাবে গড়ে তোলার এই দৌড়ে আমরা শরণাপন্ন হচ্ছি নানারকম প্রোডাক্ট, টেকনোলোজি বা প্রতিষ্ঠানের (মূলত স্কুলের)। এটি খারাপ কোন বিষয় নয়, সব অভিভাবকরাই তাই চান।
শিশুর জন্যে সঠিক নিপলটি কিনছেন তো?
যে শিশুরা ফর্মুলা খায় তাদের জন্যে তো অবশ্যই, এছাড়াও যারা বুকের দুধ খায় তাদের জন্যেও ফিডার প্রয়োজন হয়। অনেক মাই বুকের দুধ মাম্প করে শিশুকে খাওয়ায়।
শীতে শিশুর সুরক্ষা: কী করবেন এবং কখন সতর্ক হবেন
শীত আসার সঙ্গে প্রকৃতির পরিবর্তন যেমন আমাদের ওপর প্রভাব ফেলে, তেমনই শিশুরাও এ সময় কিছুটা ভোগান্তির শিকার হয়। জ্বর, সর্দি এবং কাশি শীতকালে খুবই সাধারণ সমস্যা। তবে এগুলো সামলানো যথেষ্ট সহজ, যদি প্রাথমিক সতর্কতা এবং সঠিক যত্ন নেওয়া যায়।
বেবি ব্লুজ এর আদ্যোপান্ত
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই এখনও এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানেনা ফলে এর গুরুত্বটিও বুঝেনা। বেবি ব্লুজ সম্পর্কে শুধু মা’র একার জানলে হবেনা, পুরো পরিবারকেই জানতে হবে এবং নতুন মায়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কারণ যত্ন, ভালবাসা আর বিশ্রাম মাকে এই বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
যে খাবারগুলি শিশুর জন্যে ক্ষতিকর
শিশুদের খাবাদের অনেক ক্যালোরির দরকার নেই, যেটা দরকার তা হল পুষ্টি। তারপরো আমরা অনেকেই শিশুদের প্রায়ই জাঙ্ক ফুড দিয়ে থাকি যাতে থাকে প্রচুর ক্যালোরি, চিনি এবং টেস্টিং সল্ট। এসব খাবারে পুষ্টিগুন নেই বললেই চলে। জাঙ্ক ফুড খেলে শিশুদের ছোট্ট পেট খুব দ্রুতই ভরে যায়। সুতরাং রেগুলার জাঙ্ক ফুড খেলে দেখা যায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মত আর জায়গা থাকে তাদের পেটে। পুষ্টিবিদের মতে এ ধরণের পুষ্টি ঘাটতি শিশুদের নিয়মিত যে শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ তার ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।