ToguMogu
ToguMogu
article.title
 Jun 10, 2019
 5781

শিশুকে স্মার্ট করে তুলতে চান? এই ৮ টি ধাপ মাথায় রাখুন

তো, আপনার শিশুকে স্মার্ট হিসাবে গড়ে তুলতে চান? আপনি একা নন। কে না চায় বলুন? এই জন্যই তো শিশুকে স্মার্ট বানানোর জন্য আপনি সেইসব খাবার কিনেন যেগুলোর বিজ্ঞাপন বলে আপনার শিশুকে স্মার্ট বানাবে, আপনি শিক্ষামূলক খেলনা কিনেন, আবার শিশুর বয়স কোনোমতে ৩ বছর পার হতে না হতেই স্কুলে দেয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। কারণ আপনি শুনেছেন শিশুকে আগে আগে কিন্ডারগার্ডেনে না দিলে আপনার শিশু অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে যাবে – মানে অন্য শিশুর চেয়ে কম স্মার্ট হবে। শিশুকে স্মার্ট হিসাবে গড়ে তোলার এই দৌড়ে আমরা শরণাপন্ন হচ্ছি নানারকম প্রোডাক্ট, টেকনোলোজি বা প্রতিষ্ঠানের (মূলত স্কুলের)। এটি খারাপ কোন বিষয় নয়, সব অভিভাবকরাই তাই চান। কিন্তু সেটি করতে যেয়ে আমরা প্রায়ই ভুলে যাই যে শিক্ষার শুরুটা হয় বাড়িতেই এবং অভিভাবকরাই হচ্ছেন সেখানের প্রথম এবং প্রধান শিক্ষক। এখন পর্যন্ত যত ধরণের স্টাডি এবং রিসার্চ হয়েছে সেগুলোর সবগুলোই বলছে যে শিশুর বয়স ৩ বছর হওয়ার আগে পর্যন্ত এই প্রোডাক্টগুলো, বা অমুক গেমটি অথবা তমুক স্কুল/প্রি-স্কুলটি/প্রতিষ্ঠানটি আসলে শিশুর বুদ্ধিমত্তার বিকাশে কোন প্রভাব ফেলে না। বরং এই বয়সে যদি শিশুকে কোন ভিডিও, স্মার্টফোনের কোন গেম, বা খালি খেলনার উপর ভরসা করে ছেড়ে দেয়া হয় তাতে হিতে বিপরীতটাই ঘটার সম্ভাবনা বেশি। ডঃ ফ্রিম্যান হ্রাবস্কি, মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট এবং অ্যাকাডেমিক্যালি সফল শিশু গড়ে তোলা বিষয়ক বেশ কয়েকটি বইয়ের সহ-লেখক। তিনি তার অনেকগুলো ইন্টারভিউ থেকে দেখেছেন যে অভিভাবকদের ইন্সপায়ারেসন (inspiration) এবং কমিটমেন্ট (commitment) এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। শিশু স্কুলে যাওয়ার আগেই তার মধ্যে self-esteem এবং কনফিডেন্স গড়ে উঠাটা জরুরি। শিশুর জীবনে মা-বাবা হচ্ছেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। যখন তাদের থেকে স্বীকৃতি পায় শিশু তখন তার মধ্যে ভালো করার অদম্য আগ্রহ তৈরি হয়।

 

শিশু কিভাবে শেখে সেটি জানুন

প্রতিটি শিশু আলাদা এবং প্রতিটি শিশু নিজের মত করে নতুন কিছু শেখে। কেউ শুনে বা দেখে শেখে, কেউবা sensing অথবা movement এর মাধ্যমে শেখে। প্রায়ই আমরা দেখি যখন কোন শিশু আর ১০টি শিশুর মত করে ক্লাসে শিক্ষকদের কথা শুনে বা বোর্ডের লেখা দেখে শিখতে পারে না, তখনই শিক্ষক বা অভিভাবকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা শুরু হয়ে যায়। সেই শিশুটিকে নিয়ে সবাই ‘বিশেষ শিশুর’ তকমা লাগানো শুরু করে। অথচ শিশুটি হয়তো একটু ব্যাতিক্রম। সেটি আরও ছোট বয়সেই অভিভাবকদের নজরে আসার কথা যদি তারা মনোযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে থাকেন যে তাদের শিশু কিভাবে ভালো শেখে। শিশুদের যখন বোর্ড গেম দেয়া হয় তখন কোন শিশু বাক্সের পেছনের ইন্সট্রাকশন পড়ে খেলা শুরু করে, কোন শিশু কারোর কাছে নিয়মটি জেনে নিয়ে খেলা শুরু করে, আবার কোন শিশু সেগুলোর তোয়াক্কা না করে সবকিছু বের করে খেলা শুরু করার মাধ্যমে খেলার নিয়ম শেখে। শেখার ক্ষেত্রে অন্যান্য পারিপার্শ্বিক বিষয় যেমন দিনের সময়, লাইটিং, প্রিয় কলম বা চেয়ার, ওয়ান টু ওয়ান নাকি গ্রুপে ইন্সট্রাকশন নিতে শিশুর আগ্রহ ইত্যাদি বিষয়গুলোও চলে আসে। শিক্ষক এবং অভিভাবক হিসাবে সেগুলো বুঝা এবং সে অনুযায়ী শিশুকে শেখানোর ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হবে।

 

শুনুন

ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু অনেক কঠিন কাজ। আমরা বড়রাই বা কতটুকু আসলে মনোযোগ দিয়ে অন্যর কিছু শুনি। আমরা কেবল অপরের কথার উত্তর দেয়ার জন্য শুনি, বুঝার জন্য শুনি না। আপনার শিশুর শেখার স্টাইল কোনটি সেটি বোঝার জন্য আপনাকে শুনতে হবে। শুনতে হবে এবং অনুধাবন করতে হবে। তার সাথে কথা বলার মাধ্যমে তাকে আপনি বুঝতে পারবেন, জানতে পারবেন। আমরা বড়রা মনে করি শিশুরা কিছু বুঝে না, তাদের কোন বুদ্ধি-সুদ্ধি নেই। অভিভাবক হিসাবে আমাদের কাজ হচ্ছে তাদেরকে সবকিছু শিখিয়ে দেয়া, প্রতি পদে পদে তাদের ভুল শুধরে দেয়া এবং কোনটি সঠিক সেটি চিনিয়ে দেয়া। কিন্তু এইসব করার আগে একটু মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শুনুন। প্রতিদিন নিজের ব্যস্ত সময় থেকে ১৫-২০ মিনিট বের করে তাদের স্বপ্ন, তাদের ভালো লাগা, তাদের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে আলাপ করুন। কার জন্য এতো কিছু করছেন? সন্তানের জন্যই তো। এখন তার সবচেয়ে বড় চাহিদা আপনার সঙ্গ এবং আপনার সময়। জানতে চান আপনার শিশুর কাছে ও বড় হয়ে কি হতে চায়, কেন হতে চায়। ওর প্রিয় রঙ কি, প্রিয় কার্টুন বা সুপারহিরো কে? কেনই বা তারা প্রিয়? সে কি বড় হয়ে তাদের কারোর মত হতে চায়? তার প্রিয় বন্ধু কে? কেন তারা প্রিয় বন্ধু? শিশুর মনকে জানার এবং বোঝার এই গোয়েন্দা অভিযান চালানোর সময়টাতেই আপনি বুঝে যাবেন আপনার শিশুর আগ্রহ কোনদিকে। একবার যদি বুঝে যান তাহলে আপনার আশিভাগ কাজ হয়ে গেছে। এখন তার বুদ্ধিমত্তাকে শানিয়ে নিতে আর তাকে আরও স্মার্ট বানাতে নিচের ৮টি ধাপ  ফলো করুন নিয়মিতভাবে। 

 

 

নিজেকে খুঁজে পেতে উৎসাহ দিন

আগেই যেটা বলা হয়েছে, প্রথমে খুঁজে বের করুন আপনার শিশু কোন বিষয়টাতে ভালো অথবা আগ্রহী। সে যদি খেলাধুলায় পারদর্শী বা আগ্রহী হয় তাহলে তাতেই উৎসাহ দিন। তাকে তার আগ্রহের জায়গা থেকে সরানোর চেষ্টা করবেন না। আজকে যদি তাকে ক্রিকেট খেলা থেকে সরিয়ে বিজ্ঞানের দিকে ঝুঁকাতে চান তাহলে আরও তার নিজের প্রতি কনফিডেন্স কমে যাবে। সে ভাববে হয়তো তাকে দিয়ে খেলাধুলা হবে না। এতে করে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের প্রতিও তার মধ্যে ভয় ঢুকবে। কিন্তু যখন আমরা শিশুর আগ্রহকে সাপোর্ট দেই তখন শিশুর নিজের প্রতি কনফিডেন্স অনেক বেড়ে যায়। তখন সে যে কোন বিষয়ে ভালো করার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ভয় পাবেন না যে এখন যদি আপনার শিশু ছবি আঁকতে ভালোবাসে অথবা সারাদিন গল্পের বই নিয়ে পড়ে থাকে। এরমানে এই না যে সে আর্টিস্ট বা লেখক হওয়ার চেষ্টা করবে। শিশুদের আগ্রহ এবং পছন্দ খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনগুলো ভালো এবং এগুলোতে উৎসাহ এবং সাহায্য করুন। সে নিজেই বড় হয়ে নিজের জন্য সেরাটা বেছে নিবে।

 

অতিরিক্ত আশা করবেন না

সব অভিভাবকরাই চায় শিশুরা স্কুলে ভালো করুক। আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের আছি তারা মনে করি কেবল পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টই হচ্ছে জীবনে উন্নতি করার একমাত্র উপায়। তাই অনেক অভিভাবকই নার্সারি-কেজির রেজাল্ট নিয়ে, ২-৪ নাম্বার কম পাওয়া নিয়ে এতো আপসেট হন যে সেটা দেখে আমরা নিজেরাই আপসেট হয়ে যাই। আপনার নিজের জীবনের দিকে তাকান তো। ক্লাস ওয়ানে বাংলা বা অংকে ১০০ তে কত পেয়েছিলেন মনে আছে? কম বা বেশি যাই পেয়ে থাকেন সেটি কি আপনার বর্তমান জীবনে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলেছে? তাহলে একই ভুল কেন আপনার শিশুর ক্ষেত্রে করছেন? ক্লাসে প্রথম হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সে যা জানছে শিখছে সেগুলোর কতটুকু সে আয়ত্ত করতে পাড়ছে মন থেকে সেটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এবং একই সাথে সে আগ্রহ এবং আনন্দ নিয়ে শিখছে কিনা সেটিও সমান শিশুর স্টক পূর্ণ রাখুন

শিশুর সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় স্টক ঘরে রাখুন। নতুন একটি ছবি, নতুন একটি ক্র্যাফট করতে যেয়ে যেন শিশু না দেখে তার রঙ করার জিনিস শেষ, বা ক্র্যাফট করার রঙিন কাগজ ফুরিয়ে গেছে। আঁকাআঁকি এবং ক্র্যাফটিং করার জিনিসপত্র সবসময় ঘরে রাখুন। সেই সাথে রাখুন শিশুদের জন্য গল্পের বই। শিশুর বয়স যখন ৩ বছর তখন থেকেই তার এই জিনিসগুলো ঘরে রাখুন। গল্পের বই নিয়মিত পড়ে শুনান। ক্র্যাফটের কাজে সাহায্য করুন। শিশুদের জন্য ক্র্যাফটের ভিডিও আমরা নিয়মিতভাবে আপলোড করি আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে। সা করে রাখুন এখনই।

 

শিশুর রুটিন শিশুকেই প্রস্তুত করতে বলুন

স্কুল, খেলাধুলা, কার্টুন দেখা, বই পড়া, আঁকাআঁকি এবং ক্র্যাফটের কাজ করা অথবা নিজের পছন্দমত কাজ করা – সারাদিনের রুটিনটি শিশুকেই নিয়ে সাজিয়ে ফেলুন। তার মতামতকে প্রাধান্য দিন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় রাখুন তার প্রিয় কার্টুন দেখার জন্য। এভাবে নিজের রুটিন সাজানর মাধ্যমে শিশু টাইম ম্যানেজ করা এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা শিখবে।

আর শিশুকে যখন আপনি তার নিজের রুটিন বানানোর দায়িত্ব দিবেন এরপর থেকে সেটিকে সে নিজেই চেষ্টা করবে মেনে চলতে। শিশুরা এই ব্যাপারে খুব দায়িতশিশুকে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন

ঘর এবং স্কুলের বাইরেও যে একটি বিশাল দুনিয়া আছে সেটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিন আপনার শিশুকে। তাকে নিয়ে জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, আশেপাশের কোন ঐতিহাসিক স্থান, কোন খেলা দেখতে নিয়ে যান। ছুটি পেলে খালি বিনোদনের জায়গা (যেমন, কক্সবাজার) অথবা আশেপাশের ফাস্টফুডের দোকানে না গিয়ে এমন জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করুন যেখানে তার কৌতুহলী মনের খোরাক আছে। যদি বাইরে ঘুরতে যাওয়ার সময় না পান তবে এমন বই নিয়ে বসুন যেখানে বইয়ের পাতায় অথবা এমন ভিডিও নিয়ে বসুন যেখানে ভিডিওয়ের মাধ্যমে হলেও তাকে ভ্রমণের এবং নতুন জায়গায় নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কারের আনন্দ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন আপনাকেই হতে হবে ট্র্যাভেল গাইড। হাতে বই দিয়ে বা ভিডিও ছেড়ে দিয়ে নিজে অন্য কাজ করতে বসে যাবেন না যেন।

 

সঠিক খাবার দিন

সঠিক খাবারের গুরুত্ব এই বয়সে অনেক বেশি। শিশু যেন কোন অবস্থাতেই সকাল, দুপুর বা রাতের খাবার মিস না করে সেদিকে নজর রাখুন। নিয়মিতভাবে ফলমূল খেতে দিন। পারতপক্ষে ফাস্ট ফুড এবং জাঙ্ক ফুড পরিহার করুন। চিনিজাতীয় জুস পরিহার করুনআপনার শিশুকে কারা পড়াচ্ছে তা জানুন

স্কুল থেকে সঠিক সাপোর্ট আপনার শিশু পাচ্ছে কিনা তা জানুন। আপনার শিশুর ক্লাস শিক্ষকদের সাথে কথা বলুন। তাদেরকে আপনার শিশুর আগ্রহ এবং শেখার কোন নির্দিষ্ট দিক থাকলে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। শিশুর পরীক্ষার রেজাল্ট নয়, বরং তার সঠিক মানসিক বিকাশ হচ্ছে কিনা সেটি নিয়ে স্কুলের এবং শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করুন।

স্কুল শিক্ষকদের Light of Hope এর Teachers Time থেকে নানা বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। শিক্ষকদের প্রায়ই অভিযোগ অভিভাবকদের প্রতি যে তারা শিক্ষকদের থেকে অনেক বেশি দাবি করেন। লেখাপড়া থেকে শুরু করে শিশুর আচরণ – সব কিছুই যেন শিক্ষকদের দায়িত্ব। মনে রাখবেন আপনার শিশু স্কুলে থাকে কয়েক ঘণ্টা। আর একজন শিক্ষকের সাথে হয়তো থাকে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। আপনি যতটা পারবেন আপনার শিশুর শিক্ষকের থেকে সেরকম আশা করা ঠিক নয়।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের কোর্সগুলোতে যেসব শিশু ভর্তি হয় তাদের আমরা কোন হোমওয়ার্ক দেই না, বরং অভিভাবকদের হোমওয়ার্ক দেই। প্রতি ক্লাসের পরে সাধারণত অভিভাবকদের কিছু দায়িত্ব থাকে এই কাজগুলো তাদের শিশুদের সাথে করা। আমরা চাই অভিভাবকরা জানুক বুঝুক কিভাবে শিশুদের মধ্যে সৃজনশীলতা বাড়াতে হয়। আমাদের সাথে তো শিশু সপ্তাহে কাটায় ২ ঘণ্টা। আর অভিভাবকদের সাথেই বাকি সময়। তাই অভিভাবকদেরকে জানানো জরুরি কিভাবে শিশুদের মধ্যে সৃজনশীলতা, প্রবলেম সল্ভিং স্কিল, নৈতিকতা ইত্যাদি বাড়ানো যায়।

 

শিশুর শেখাকে করুন আনন্দময়

গবেষণায় দেখা গেছে যখন শিশু আনন্দ নিয়ে শিখে তখন সেগুলো মনে থাকে বেশি। শৈশবের পুরো সময়টিই হল নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করা। এই সময়ে শিশু নিজেকে এবং তার চারপাশের পরিবেশকে আবিষ্কার করে। আপনার কাজ হচ্ছে এই নতুন চেনা জগতটাকে তার কাছে আরও বোধগম্য করে তোলা, তাকে চমৎকার একটি আনন্দময় শেখার পরিবেশ এবং হাতে-কলমে শেখার সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে। শিশুকে আনন্দ নিয়ে শেখার পরিবেশ তৈরি করে দেয়ার দায়িত্ব অভিভাবকদের। অতিরিক্ত চাপ দিয়ে, স্কুলের রেজাল্ট নিয়ে দুশ্চিন্তা করে শিশুর নতুন কিছু শেখার যে ন্যাচারাল গুণ আছে সেটি নষ্ট করবেন না। আপনার সময়, আপনার ভালোবাসা এবং আপনার এটেনশন হচ্ছে আপনার শিশু স্মার্ট হবে কিনা তার সবচেয়ে বড় নির্ধারক।

সন্তানের সৃজনশীলতার চর্চা করান কিডসটাইমের কোর্সে।কিডসটাইমের কোর্স গুলো দেখতে ভিজিট করুন নিচের লিংকে :

https://togumogu.app/Kids-Creative-Course

ToguMogu App