প্রায়ই বাচ্চারা ফিডারে দুধ খেতে শুরু করলে শেষ না করেই আর খেতে চায় না। এই Leftover milk বা পরিশিষ্ট যে দুধ ফিডারে রয়ে যায় তা ফেলে দিবে না রেখে দিবে তা মা বাবারা বুঝে উঠতে পারেনা। দুধ একবার বানালে কতক্ষন পর্যন্ত রাখা যায় তা নিয়েই এই লেখা।
Articles
শিশুদের সাজগোজের জিনিসপত্রের দিকে আকর্ষণ কি স্বাভাবিক?
জ্বী হ্যাঁ, শিশুদের makeup করার অর্থাৎ লিপস্টিক কিংবা আই শ্যাডো লাগানোর যে প্রবণতা দেখা যায় তা খুবই স্বাভাবিক। শুধুমাত্র মেয়েশিশুরাই না ছেলে শিশুদের মধ্যেও এই প্রবনতা দেখা যায়। আমরা জানি, শিশুরা অনুকরণ করতে খুব ভালবাসে। এটি হল অনুকরণের ফল। অনেক শিশু আছে যারা বড়দের কাপড় পড়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে অনুকরণ করে। কখনো তাদের মা সাজে, কখনো বাবা আবার কখনো বড় ভাইবোন বা দাদা-দাদি,নানা-নানি। এভাবেই অনুকরণের মাধ্যমে তারা নিজেদের একটা অনন্য পরিচয় গড়ে তুলে। আপনার শিশু ছেলে হোক কিংবা মেয়ে তার সাজগোজের জিনিস নিয়ে খেলার অভ্যাসটিকে আপনি অন্য অভ্যাসগুলোর মতই দেখুন।
শিশুকে নিরাপদে গোসল করানোর টিপস
১২ মাস থেকে ২৪ মাস বয়সী শিশুদের সারাক্ষণই চোখে চোখে রাখতে হয়। এই বয়সটাতেই শিশুরা হাটতে শেখে, কথা বলতে শেখে, বাইরের জগত চিনতে শিখে এবং চঞ্চলতাও বৃদ্ধি পায়। গোসলের সময়টায় এই বয়সী সব শিশুই খুব মজা পায়। এ সময় তারা খুবই উত্তেজিত থাকে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সামলানো কঠিন হয়ে দাড়ায়। এ সময় Safe bathing এর জন্যে কি কি নিরাপত্তা গ্রহন করা উচিৎ তা সম্পর্কে কিছু টিপস নিচে দেয়া হলঃ
৬ টি টিপস বাচ্চাকে সরাসরি “না” বলার পরিবর্তে অন্যভাবে নিষেধ করা শেখাবে
৫-৮ বছরের শিশুরা সাধারনত না শুনতে পছন্দ করেন না। প্রায় সময়ই দেখা যায় তাদেরকে যে কাজটি করতে বারণ করা হয় তারা সেই কাজটিই বেশি করে করতে চায়। এসব ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন নেতিবাচক শব্দের পরিবর্তে ইতিবাচক শব্দ (Positive words) ব্যবহার করতে।
বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের কফি পান কতটুকু নিরাপদ?
বিশেষজ্ঞের মতে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের কফি পান করা পুরোপুরি নিরাপদ। যদিও আপনার পান করা ক্যাফেইন আপনার বুকের দুধের সাথে মিশে যায় তবে সেটার পরিমান খুব কম। অধিকাংশ গবেষণায় দেখা যায় যে আপনি যে পরিমান ক্যাফেইন খাচ্ছেন তার এক শতাংশেরও কম বুকের দুধের সাথে মিশে।
৫ টি নিয়ম শিশুর হাতে Smartphone দেয়ার আগে
অভিভাবকদের মধ্যে ইদানীং একটি মুখ্য আলোচনার বিষয় হচ্ছে বাচ্চার জীবনে টেকনোলোজির ব্যবহার। বাচ্চার Smartphone ব্যবহার মনিটর করাটা সবথেকে চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার অভিভাবকের কাছে কারণ স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চার সাথে আপনি ২৪ ঘন্টা থাকতে পারবেন না। আমেরিকাতে ৭ থেকে ১০ বছর বয়সেই সাধারণত বাচ্চারা নিজেদের স্মার্টফোন পেয়ে যাচ্ছে। যা একটি ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। আমাদের দেশেও এর খুব একটা ব্যতিক্রম হচ্ছেনা কিন্তু। অথচ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বাচ্চাদের হাতে যত দেরীতে Smartphone দেয়া যায় ততই ভাল
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস: সম্ভাব্য জটিলতা ও প্রতিকার
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কাকে বলে?
উত্তর : গর্ভাবস্থায় যে কোনো সময়ে ডায়াবেটিস শুরু হলে বা প্রথমবারের মত ধরা পড়লে তাকে গর্ভকালীন বা Gestational ডায়াবেটিস বলে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস একধরনের সুপ্ত(latent) ডায়াবেটিস। ল্যাটেন্ট ডায়াবেটিস বলা যেটা কোনো স্ট্রেসফুল কন্ডিশনে ধরা পড়ে নরমালে থাকে না।যেমন কোনো সার্জিক্যাল অপারেশন বা প্রেগন্যান্সি বা ইনফেকশনে হয়ে থাকে।
শিশুকে ধমকের উপর রাখছেন না তো?
শিশুরা যখনই এমন কিছু করতে চায় যা আমাদের পছন্দ নয় আমরা প্রথমেই যা করি তা হল ওদেরকে ধমক বা Threat দেই। কিন্তু এটা ওদের উপর ঠিক কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে তা আমরা বুঝতে পারি না। যুগ যুগ ধরে আমাদের সমাজের বাবা মারা এইভাবেই সন্তানদের মানুষ করে আসছে। তাই এর ভিতর থেকে বের হয়ে আসা অনেকটাই কঠিন। কিন্তু শিশুর মানসিক বিকাশ যদি সুষ্ঠভাবে ঘটাতে চান তাহলে আপনাকে এই প্রথার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে।
আপনার সন্তান কি মারমুখী? কেন মারমুখী এবং এক্ষেত্রে কি করণীয়?
কেন বাচ্চারা মারমুখী বা আক্রমনাত্মক হয়?
অবাক লাগলেও সত্যি যে,বাচ্চাদের Aggressive আচরণ একটি স্বাভাবিক বিষয়।
অনেক বাচ্চাই আছে সহপাঠীদের খেলনা কেড়ে নেয়, আঘাত করে, চিৎকার করে মুখ নীল বানিয়ে ফেলে। ৩ থেকে ৮ বছর বয়সী বাচ্চারা নতুন নতুন দক্ষতা শিখছে প্রতিনিয়ত। সেটা হতে পারে কেঁচি ধরা, জটিল বাক্য বলা ইত্যাদি। এই বয়সের বাচ্চাদের মধ্যে একটুতেই বিরক্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। এই বয়সেই বাচ্চারা প্রি-স্কুল শুরু করে, অর্থাৎ বাসার বাইরে থাকার সাথে ওদের পরিচয় হয়। অনেক বাচ্চাই স্কুলে থাকাবস্থায় বিরক্তবোধ করে অথবা নিজেকে অবহেলিত অনুভব করতে থাকে।
গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতা
গর্ভকালীন বিষণ্ণতা এমন একটি সমস্যা যা প্রায় শতকরা দশ ভাগ গর্ভবতী মহিলাকে আক্রমন করে। এর প্রভাব মা ও শিশুর শরীরে ও মনে খুবই প্রকট, তারপরও আমাদের সমাজে দেখা যায় চিকিৎসক থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্য, এমন কি মাঝে মাঝে গর্ভবতী নিজেও এই সমস্যা কে এড়িয়ে যায়। কোন নারী যদি আগে বিষণ্ণতার কোন চিকিৎসার ভেতর থাকেন, দেখা যায় গর্ভবতী জানার সাথে সাথে ওষুধ বন্ধ করে দেন এই ভেবে যে এতে হয়তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, অনেক গবেষণায় দেখা গেছে ঠিকমতো চিকিৎসা না গ্রহন করলেই মা ও বাচ্চার উপর ক্ষতির পরিমান ভয়ানক ভাবে বেড়ে যায়। মায়ের উপর ক্ষতির পরিমান যেমন দীর্ঘস্থায়ী হয়, তেমনি শিশুর উপরও মায়ের বিষণ্ণতার প্রভাব থাকে অনেকদিন পর্যন্ত। গবেষণায় দেখা যায়, যেসব বাচ্চা গর্ভে থাকাকালীন মায়ের বিষণ্ণতার স্বীকার হয়, তারা বড় হলে আক্রমণাত্মক এবং জেদি হয় এবং তাদের সামলানো কঠিন হয়ে থাকে। তাই শুধু চিকিৎসক না, পরিবারের সবাই এমন কি বন্ধু বান্ধবদের এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে যাতে যাদের তাদের কাছের কোন গর্ভবতী সুপ্ত বিষণ্ণতার কারনে কষ্ট না পায়। প্রেগনেন্সিতে বিষণ্ণতা এবং সাধারণ মন খারাপ বা ভালো না লাগার মধ্যে বিভাজন করা সহজ ব্যাপার নয়। কারন এই সময় নানা কারনেই মনের পরিবর্তন হতে পারে, কিছু ক্ষেত্রে ঘনঘনই হতে পারে। তাই কোনটা সাধারন মন খারাপ বা ভালো না লাগা আর কোনটা বিষণ্ণতা তা জানতে হবে। কারন বিষণ্ণতায় ডাক্তারি সাহায্য না নিলে মা ও শিশুর আসুন জেনে নেই কখন বুঝতে হবে এটা বিষণ্ণতা! – দুই সপ্তাহের বেশি মন খারাপ থাকলে। -যেসব জিনিস আগে উপভোগ করতেন, সেটা আর ভালো না লাগলে। – চারপাশের কোন ব্যাপারে আর কোন আগ্রহ না থাকলে। – যেকোনো সমস্যায় নিজেকেই দোষী ভাবলে। – কোনকিছুতেই মনোযোগ দিতে না পারলে। – নিজেকে মূল্যহীন ভাবতে শুরু করলে। – খুব বেশি বা একেবারেই কম ঘুমালে।কোন ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে।