শিশুর জন্ম থেকে বেড়ে উঠার প্রতিটি ধাপে মা-বাবা বটবৃক্ষের ছায়ার মতো সন্তানকে আগলে রাখতে চান। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তারা সন্তানদের মধ্যে আবেগিক সম্পর্কের দিকটি সহজ ও মধুর হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের যুগে সে সম্পর্ক স্বাভাবিকতা হারাচ্ছে।
জীবনের বাস্তবতা ও জীবিকার ব্যস্ততায় আজকাল অনেক মা-বাবা সন্তানদের যথেষ্ট সময় দিতে ও যত্ন নিতে পারছেন না। আবার যেটুকু পারছেন, সেখানেও থাকে বিভিন্ন ডিভাইসের আধিক্য। ফলে সন্তানদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে দুঃখবোধ ও হতাশা। অভিভাবকরা যথেষ্ট যত্নশীল না হলে এ সমস্যা বাড়তেই থাকবে, কমবে না।
শিশুর মনের যত্ন কি আসলেই প্রয়োজন?
শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার বিকাশ ঘটে পরিবার থেকে। শিশুর যত্ন বলতে শুধু আমরা শারীরিক যত্ন বুঝে থাকি। শিশুর খাওয়া দাওয়া, ঘুমানো, বয়সের স্বাভাবিক বিকাশ ঘটছে কিনা এসবই। অথচ শিশুর মানসিক বিকাশ কিভাবে ঘটছে সেদিকে গুরুত্ব দেই না।
প্রত্যেক শিশু আলাদা, তাদের চিন্তা ভাবনা আলাদা। একজন শিশু কোন ঘটনা থেকে কি শিখছে তা মূল্যায়ন করা পরিবারের দায়িত্ব। পরিবার যদি কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে শিশুকে বড় করে থাকে তাহলে শিশুর মধ্যে আত্নবিশ্বাসের অভাব হবে, সে অন্যর সাথে নিজেকে তুলনা করা শিখবে। এমনকি কঠোর শেকলে বন্দি থেকে যে কোন ভুল কাজ করে ফেলতে পারে। তাই শিশুর শারীরিক যত্নের পাশাপাশি প্রয়োজন মানসিক যত্নের। এক্ষেত্রে মা - বাবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কেন প্রয়োজন?
বর্তমানে শিশুদের মধ্যে বিষন্নতা, হতাশা, না পাওয়ার বেদনা এবং আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এজন্যই এখন প্রয়োজন অভিভাবক হয়ে আরও সচেতন হওয়া, পাশে দাঁড়ানো এবং সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া।
টিনেজারদের মাঝে মান অভিমানের কারনে দিন দিন নিজেকে শেষ করার প্রবণতা বেড়েই চলছে। তাদের মানসিক সমস্যাগুলো বুঝার জন্য বাবা মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
তাই, কিভাবে শিশুদের মনের যত্ন নেয়া যায়, তাদের মানসিক বিকাশ কিভাবে ঘটবে, তারা যেন স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে, সে বিষয়ে জানতেই মা-বাবা দের জন্য একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে আঁচল ফাউন্ডেশন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য তিন জন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এই বিষয়ে টিপস শেয়ার করবেন। আপনার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে রেজিস্ট্রেশন করুন এখনই।
ওয়ার্কশপে যেসব বিষয়ে আলোচনা হবেঃ
১। সন্তানরা স্কুল বা বাসার বাইরে বুলিংয়ের শিকার হলে কি করবেন?
২। শিশু কোনো ধরনের অযাচিত আবদার করলে কিভাবে সামলাবেন?
৩। মোবাইল আসক্তি থেকে সন্তানকে কিভাবে রক্ষা করবেন।
৪। সন্তান যদি অসৎ সঙ্গ গ্রহণ করে, সেখান থেকে কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন?
৫। পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হলে সন্তানকে কিভাবে মোটিভেট করবেন?
৬। সন্তানের সাথে কিভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করবেন?
৭। তাদের মন খারাপ হলে মনের যত্ন কিভাবে নিবেন?
৮। নিজের ব্যস্ততার মাঝেও কিভাবে কোয়ালিটি সময় দিবেন?
৯। নিজের মনের যত্ন কিভাবে নিবেন?
১০। অযাচিত চাপ না দিয়েও কিভাবে সন্তানকে সফল হতে ভূমিকা রাখবেন
🔰ইভেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলী-
সময় : ৩.০০- ৭.০০ pm
তারিখ: ১৮ই মে, ২০২৪, শনিবার।
ভেন্যু : NPU Conference Hall, Arts Faculty, DU
রেজিস্ট্রেশন ফি- ১০০০ টাকা ( রেগুলার ফিঃ ২০০০ টাকা)
রেজিস্ট্রেশন করতে লিংকে ক্লিক করুনঃ রেজিস্ট্রেশন করুন